জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক (এসডিএসএন) দারিদ্র্য দূরীকরণ, পৃথিবীর সুরক্ষা এবং সবার জন্য শান্তি ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সার্বজনীন আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সঠিক পথে অগ্রসরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘এসডিজি অগ্রগতি পুরস্কার’ দিয়েছিল। সেই পুরস্কার বাংলাদেশের জনগণকে উৎসর্গ করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আজ সোমবার (০৪ অক্টোবর) বিকেলে গণভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এই পুরস্কার উৎসর্গ করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সল্যুশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) পক্ষ থেকে এসডিজি অর্জনে সর্বোচ্চ সাফল্যের জন্য আমাকে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। এসডিএসএনের প্রেসিডেন্ট অর্থনীতিবিদ প্রফেসর জেফ্রি স্যাক্স আমার হাতে এই সম্মাননা তুলে দেন।
তিনি আরও বলেন, মহামারির মধ্যেও বাংলাদেশ যে অবিচলভাবে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে এগিয়ে যাচ্ছে – এই পুরস্কার তারই বিশ্ব স্বীকৃতি। আমি আমার এই পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ বিতর্ক পর্বে বক্তব্য রাখি। প্রতিবারের মতো এবারও আমি বাংলায় বক্তব্য রাখি। আমার বক্তব্যে আমি কোভিডমুক্ত একটি বিশ্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে টিকার সর্বজনীন ও সাশ্রয়ী মূল্যে প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার উপর গুরুত্বারোপ করি।
করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রীর এ সংবাদ সম্মেলন স্বাভাবিক সময়ের মতো নয়। সংবাদকর্মীরা আছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় প্রান্তে। আর নিজের সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন সরকারপ্রধান।
অবশ্য কয়েকজন আমন্ত্রিত অতিথি গণভবনে সরাসরি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নেয়ার সুযোগ পেয়েছেন।
জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে গত ১ অক্টোবর রাতে দেশে ফেরেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিংকিতে দুই দিনের যাত্রাবিরতির পর ১৯ সেপ্টেম্বর ৭৬তম জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী।
১৯ থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকটি উচ্চ পর্যায়ের ও রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যোগ দেন। সেই সঙ্গে বিভিন্ন সরকার, রাষ্ট্র ও সংগঠনের প্রধানের সঙ্গে কয়েকটি দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বসেন।
পরে ২৫ সেপ্টেম্বর ওয়াশিংটন ডিসির উদ্দেশে নিউ ইয়র্ক ছাড়েন সরকারপ্রধান। নিউ ইয়র্কে অবস্থানকালে শেখ হাসিনা ২৪ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬তম অধিবেশনে ভাষণ দেন। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তার সম্মানে প্রধানমন্ত্রী ২০ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নর্থ লনের ইউএন গার্ডেনে একটি গাছের চারা রোপণ করেন এবং বঙ্গবন্ধুর নামে একটি বেঞ্চ উদ্বোধন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ওই মুহূর্তকে ‘আনন্দের’ বলে বর্ণনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের সদর চত্বরে রাজনৈতিক নেতাকে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ এটিই প্রথম। বাংলাদেশের জন্য বিরল সম্মাননা। সদর দপ্তরে একটি বৃক্ষরোপণ করতে পারা আমার জন্য আনন্দের বিষয়।’
Leave a Reply