আজ ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ :

পুরোদমে চলছে ঢাকা-মাওয়া রেললাইনের কাজ

 

সালাহউদ্দিন সালমান॥
ঢাকার কমলাপুর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার পদ্মা সেতুর উত্তর পাশ পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ কর্মযজ্ঞ এগিয়ে চলছে। সিরাজদিখান উপজেলার পলাশ পুর চর পানিয়া সহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে ব্যাপক গতিতে এগিয়ে চলছে ঢাকা-মাওয়া রেললাইনের কাজ । ঢাকার কমলাপুর থেকে মুন্সীগঞ্জের মাওয়ার পদ্মা সেতুর উত্তর পাশ পর্যন্ত রেললাইনের এই সেকশনে থাকবে ৪টি স্টেশন প্রথম সেকশন ঢাকার কমলাপুর থেকে গেন্ডারিয়া পর্যন্ত হবে ডুআয়েলগেজ ডাবল লাইন।

দ্বিতীয় সেকশন হবে গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া পর্যন্ত ৩৬ কিলোমিটার ব্রডগেজ সিঙ্গেল লাইন। নতুন নির্মাণ করা হবে কেরানীগঞ্জ, নিমতলা, শ্রীনগর ও মাওয়া রেলওয়ে স্টেশন। মুন্সীগঞ্জের বালুচরের পাশে স্ট্যান বাজার সংলগ্ন নির্মাণযজ্ঞ চলছে আধুনিক কেরানীগঞ্জ রেলওয়েস্টেশনের।ঢাকা থেকে রেল লাইনটি মাওয়া পর্যন্ত নির্মাণ শেষ হওয়ার পর তা সরাসরি ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথে উন্নতি হবে।

জানায়ায় মাওয়া পর্যন্ত রেলপথে প্রায় ১৭ কিলোমিটার উড়াল রেললাইন নির্মাণ হচ্ছে। উড়াল রেললাইনের পিলারসহ স্টেশন নির্মাণ কাজ দিন-রাত সমান তালে এগিয়ে চলছে।রেলপথে কেরানীগঞ্জের বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর ও মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানের বাসাইল ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদীর ওপর দুটি মেজর রেল ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। ইতোমধ্যে বুড়িগঙ্গা নদীর উপর রেল ব্রিজ নির্মাণ কাজের জন্য নদীতে পিয়ার নির্মাণ কাজ চলছে। এর বাইরে আরও ৩ কিলোমিটার উড়াল রেলপথ হবে পদ্মা সেতুর উত্তর পান্তে মাওয়ায়। গেন্ডারিয়া থেকে মাওয়া পর্যন্ত উড়াল লাইনের জন্য ৪১৯টি পিলার নির্মাণ কাজ চলছে।

২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে রেল প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পুরনো স্টেশনগুলো রি-মডেলিং করা হবে ঢাকার কমলাপুর ও গেন্ডারিয়া রেল স্টেশন। রেল প্রকল্পের দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানান, এ রুটে আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক ব্রডগেজ মালবাহী ও কন্টেনার ট্রেন চলবে।এলিভেটেড ভায়াডাক্টের ওপর দুটি প্লাটফর্ম, একটি মেন লাইন ও দুটি লুপ লাইনসহ রেলওয়ে স্টেশন নির্মাণ ও তাতে লিফট স্থাপন করা হবে। প্রায় ১১ মিটার উঁচু রেল লাইনের নিচ দিয়ে সড়কের জন্য আন্ডারপাস নির্মাণের মাধ্যমে উভয় পথে নিরবচ্ছিন্ন ও নিরাপদ ট্রেন এবং গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করা হবে। স্টেশনগুলোতে থাকবে আধুনিক সিগনালিং ব্যবস্থা। পানি প্রবাহ ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় বড় সেতু ও ছোট সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। রেলপথ ও সড়কপথ বিভাজনে থাকবে আন্ডারপাস, অপটিক্যাল ফাইবারের টেলিযোগাযোগ, ভায়াডাক্ট, রুফ ওয়ে, রেলক্রসিং, রেল ওভার ব্রিজ, প্রকল্প কার্যালয়, ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য পুনর্বাসন কেন্দ্র।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ :