সালাহউদ্দিন সালমান॥
সিরাজদিখান উপজেলার আলোচিত আওয়ামীলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম যুবরাজ পেলো নৌকা। বিগত কয়েকদিন যাবত তার দেওয়া (নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা) বক্তব্য টি নিয়ে মুন্সীগঞ্জ জেলা থেকে উপজেলা তারপর সমগ্র বাংলাদেশে এবং দেশ বিদেশে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছিলো তার বক্তব্য আলোচনার শীর্ষে।স্থানীয় আওয়ামীলীগের কর্মীদের মধ্যেও ছিলো কানাঘুষা কে পাবে নৌকা। অবশেষে সব জল্পনা কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে উপজেলার বাসাইল ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজের কপালেই বসল নৌকার তিলক।কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ মনোনয়ন বোর্ডের মিটিং থেকে চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের নৌকা প্রতীক হিসেবে ২৩ তারিখ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় বাসাইল ইউনিয়নে গতবারের নৌকা প্রতীক পেয়ে নির্বাচিত হওয়া চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুআবরাজ এবারেও পেয়েছেন নৌকা।স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের সাথে কথা হলে তারা জানান,সাইফুল ইসলাম যুবরাজের বিপক্ষে যারা ষড়যন্ত্র করেছে তারা পরাজিত হয়েছে।
জানাযায় কিছুদিন আগে নির্বাচনী সহিংসতায় কোনো কর্মী মারা গেলে ১০ লাখ টাকা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাইফুল ইসলাম যুবরাজ। গত ২৫ ও ২৬ অক্টোবর নিজ বাড়িতে কর্মীদের সঙ্গে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন তিনি। মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) তার দেওয়া ঘোষণাটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এছাড়া হাসপাতালে গেলে চিকিতসা ও সংসার খরচের দায়িত্বও নেবেন বলে জানান ওই প্রার্থী।তবে কথাগুলো তিনি বলেছেন ঠিকিই কিন্ত পুরো বক্তব্য না দিয়ে অল্প কেটে ভিডিও প্রকাশ করায় তিনি ক্ষোভ জানান,সিরাজদিখান থানা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য ও বাসাইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য এবং বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম যুবরাজ আরো বলেন,আমার বক্তব্য ¯পষ্ট,আমি অন্যদের মতো ছয় নয় বুঝিনা,আমি একজন নৌকার কর্মী আগেও ছিলাম এখনো আছি আগামীতেও থাকবো।কে কি ষড়যন্ত্র করলো এগুলো নিয়ে ভাবিনা,দেশনেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে গতবারও নৌকা দিয়েছিলো এবারও দিয়েছে ইনশাল্লাহ আমি তার মান রাখবো।
সিরাজদিখানের ১৪টি ইউনিয়নে আগামী ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে।
মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর। মনোনয়নপত্র বাছাই ২৯ নভেম্বর, প্রত্যাহারের শেষ সময় ৬ ডিসেম্বর এবং প্রতীক বরাদ্দ হবে ৭ ডিসেম্বর।
Leave a Reply