সালাহউদ্দিন সালমান।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ৪র্থ থাপের প্রতীক বরাদ্দের কারনে সিরাজদিখানে যানজটে পরতে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগে পরতে হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত যানজটে নাকাল এ রাস্তায় চলাচলকারী শিক্ষার্থঅসহ নানা শ্রেণি পেশার হাজারো মানুষ। উপজেলা মোড় থেকে রশুনীয় স্কুল, উপজেলা পরিষদ এলাকা ও গোয়ালবাড়ি মোড় পর্যন্ত প্রায় দুই কি.মি. রাস্তায় যানজটের সৃষ্টি দেখা যায়। এ সময় সকল যানবাহন ধীরগতি ও মাঝে মাঝে থেমে থেমে চলে।
উপজেলার মোড়, সিরাজদিখান বাজার, উপজেলা পরিষদ ও সন্তোষ পাড়া মোড় পর্যন্ত থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করেও যানজট নিরসনের চেষ্টা করে। তিনটি রাস্তায় ২ কি.মি. যানজটের কারনে, রোগী, সাধারণ মানুষ, অফিসগামী সকলেই ভোগান্তিতে পরেন। বেশ কিছু পরীক্ষার্থী কুচিয়ামোড়া কলেজে পরীক্ষা দিতে যাওয়া ও ইছাপুরা সরকারি ডিগ্রি কলেজে অসার সময় ভোগান্তীতে পরেন। দীর্ঘ সময়ে এ রুটের ৯ কি.মি. রাস্তা যেতে না পেরে, লতব্দী এলাকা দিয়ে ১২ কি.মি. ঘুরে যেতে হয় তাদের। এ সময় প্রশ্নপত্র থানা থেকে নিতে এসে ভোগান্তিতে পরেন কুচিয়ামোড়া কলেজের কয়েকজন শিক্ষক।
সরকারি ইছাপুরা বিকেবি ডিগ্রি কলেজ অধ্যক্ষ শামসুল হক হাওলাদার বলেন, আজ উপজেলা থেকে চেয়ারম্যান মেম্বারদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হয়। তাই গোয়ালবাড়ী মোড় থেকে রশুনীয়া পর্যন্ত সারাদিন যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় শিক্ষক ও পরীক্ষার্থীরা চরমভোগান্তিতে পরেছেন। ইছাপুরা কলেজ থেকে ৪ শত ৪১ জন কুচিয়ামোড়া কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছে। কুচিয়োমোড়া কলেজ থেকে ২ শ ১৯ জন আমাদের কলেজে এসে পরীক্ষা দিচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা সিরাজদিখান থেকে দীর্ঘ পথ কি.মি পায়ে হেঁটে রশুনীয়া স্কুল পর্যন্ত গিয়ে আবার অন্য গাড়িতে উঠেছে। তেমনি এ দিকে আসা পরীক্ষাথীরাও পরেছে একই অবস্থায়। কুচিয়ামোড়া কলেজের শিক্ষকরা থানায় প্রশ্নপত্র নিতে এসে পরতে হয় এ সমস্যায়। তারা দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে প্রশ্নপ্রত্র নিয়ে গিয়েছেন। তবে পরীক্ষায় কোন ব্যাঘাত ঘটেনি, ঠিক সময় পরীক্ষা শুরু হয়।
এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন জানান, প্রতীক বরাদ্দ নিতে এসে প্রত্যেক প্রার্থী অতিরিক্ত গাড়ি ও লোকজন নিয়ে আসেন। এখানকার রাস্তা সরু, সিরাজদিখান বাজারের ব্রীজটি সরু একটি করে গাড়ি যেতে হয়, সঙ্গত কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ সকাল থেকেই চেষ্টা করেছে, পরে থানার সকল পুলিশ গিয়ে এবং সকলের প্রচেষ্টায় দুপুরের দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তা না হলে রাত পর্যন্ত এ যানজট নিরসন হত না। #
Leave a Reply