সালাহউদ্দিন সালমান।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে সমগ্র বাংলাদেশের মধ্যে সিরাজদিখান উপজেলার বালুচর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের চান্দের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট পুড়ার মতো ঘটনা ঘটেছিলো।সে ঘটনায় সিরাদজিখান থানা পুলিশ বাদী হয়ে মামলা ও করেছিলো স্থানীয় বিএনপি জামাত নেতাদের বিরুদ্ধে।যে মামলা এখনো ঝুলে আছে বলে জানান স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। সে মামলার কি হয়েছে বা আদৌ হবে কিনা যার পরিণতি এখনো জানেনা কেউ।এছাড়া যেকোন নির্বাচনে বালুচরে ১,২,৩ নং ওয়ার্ডের তিনটি কেন্দ্রই থাকে মারাত্মক ঝুঁকিতে হউক সে জাতীয় অথবা ইউপি নির্বাচন,সব নির্বাচনেই চান্দের চরের কেন্দ্র সহ পাইনাচর খাসকান্দি ভোট গ্রহণ কেন্দ্র তিনটিতে মারামারি ভোট ছিনতাই হয়েই থাকে।আজ নির্বাচনেও তেমন আভাস পাওয়া যাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় ভোটাররা। উল্লেখ্য সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যে বালুচর উনিয়নের চান্দের চর খাসকান্দি ও পাইনাচরের কেন্দ্র তিনটির মাঝখানে ধলেশ্বরী নদীর কারণে উপজেলা প্রশাসনের সাথে তাৎক্ষনিক সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব হয়না।যেটাকে পুঁজি করে দুর্বৃত্তরা যেকোন অপকর্ম করতে সক্ষম হয় অনায়াসে।এছাড়া এই তিনটি ওয়ার্ডে বংশগত এবং ভূমিদূষ্যদের হাউজিং প্রকল্প ব্যবসা নিয়ে দলীয় কোন্দল লেগে থাকে হরহামেশা।এখানে গত তিনবছরে একাধিক বার টেঁটা বল্লম যুদ্ধ সহ ঘরবাড়ি পুড়ে ফেলা হয়েছে বাংচুর হয়েছে একাধি বাড়িঘর।এছাড়া দুইজন মানুষ হত্যা সহ একাধিক ব্যক্তি পঙ্গুত্ব বরণ করে বিছানায় পরে আছে। এইসব কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ করে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী করা ভিবিন্ন প্রার্থী সহ এলাকার নিরীহ জনগণ চাচ্ছে শঙ্কা মুক্ত হওয়ার জন্য ব্যাপক নিরাপত্তা।কারণ প্রতিটি কেন্দ্রে যারা নির্বাচন করছেন তারা বিগত দিনে হামলা মামলার সাথে সরাসরি জড়িত সহ কয়েকজন প্রার্থী জেলহাজতেও ছিলো।ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম জানান, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে সব ধরনের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ ইউনিয়ন ও কেন্দ্রগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ, বিজিবি, আনসারের ভ্রাম্যমাণ টিম প্রস্তুত থাকবে।
Leave a Reply