মাহবুব আলম জয়: মুন্সীগঞ্জে অনেকে নারী উদ্যোক্তা হয়েছে কাজ করছেন। এর মধ্যে অনেক নারী উদ্যোক্তা বিভিন্ন থিম নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এদের নারী উদ্যোক্তা তানুসা তামান্না।
মুন্সীগঞ্জ ঐতিহ্য ধরে রাখতে পিঠা পুলি নিয়ে কাজ করছেন। এ উদ্যোক্তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পেজ খুলে ব্যবসা শুরু করে জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এ পিঠার আইটেম গুলোর মধ্যে নারু,বিবিখানা, পাটিসাপটা, নকশী পিঠা,পুডিং,মালপোয়া,ভাজা পুলি দুধপুলি,শুকনো খোলায় ভাজা পুলি গোলাপ পিঠা,জামাই পিঠা, ফুলঝুরি গুড়া দুধের সন্দেশ ও কেক। পিঠার হাতেখড়ি কলেজ জীবনে কলেজের পিঠা উৎসবে স্টল দেওয়ার মাধ্যমে। বিক্রমপুরের জামাই আদর মানেই পিঠাপুলির সমাহার। বিক্রমপুরে তথা মুন্সীগঞ্জের ঐতিহ্য গুলোর মধ্যে একটা হলো পিঠা পুলি আর এটাকে মুন্সীগঞ্জ সহ সারা বাংলাদেশে পৌঁছানোর কথা চিন্তা করে ৬ সেপ্টেম্বরের ২০২০ সালে অফিসিয়ালি ভাবে পিঠা বিক্রি শুরু করে অনলাইন উদ্যোক্তা তামান্না ।
তানুসাস কোসাইন ” নামে পিঠার পেইজ রয়েছে তার। এ পিঠা গুলি ডেলিভারি ম্যানের মাধ্যমে ডেলিভারি করে সারা মুন্সীগঞ্জে, ও মুন্সীগঞ্জের বাইরে সুন্দরবন কুরিয়ারে মাধ্যমে পাঠানো হয়।
তানুসা তামান্না বলেন, পিঠা বানাতে অনেক আয়োজনের প্রয়োজন হয়। একা হাতে করে উঠা পসিবল না। আমার আম্মু এই দিক দিয়ে আমাকে সব সময় সাপোর্ট দিয়েছে। আম্মু ছাড়া হয়তো আমি এতদূর এগোতে পারতাম না। আমার স্বামীরও সহযোগীতা পাই। গত দেড় বছরের আমি ৪ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকার পিঠা বিক্রি করি। ঘরে বসে পড়াশোনার পাশাপাশি আমার কাজকে এতদূর এগিয়ে নিয়ে যেতে পেরে খুব ভাল লাগছে।
আমার পরও এখন মুন্সীগঞ্জে আরো অনেক পিঠা উদ্যোক্তা হয়েছে। তারাও ঘরে বসে আত্মনির্ভর হচ্ছে। আমার ইচ্ছে আছে পিঠাপুলির বিজনেস নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাওয়ার। আমার ইচ্ছা মুন্সীগঞ্জে নিজের একটা ” তানুসাস কোসাই”নামে পিঠার দোকান দেওয়ার যাতে বিক্রমপুরের ঐতিহ্যটাকে ধরে রাখাতে পারি।
Leave a Reply