ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় পুলিশের বরখাস্ত উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানের ৩ বছর ও দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে দুই মামলায় ৮ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রায় ঘোষণায় এ আদেশ দেন। এদিন বেলা ১১টা ১৩ মিনিটে বিচারক মামলাটির রায় পড়া শুরু করেন। এসময় আসামি মিজান ও বাছির কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে রায় পড়া শুনেন। তারআগে বেলা ১০টা ২৫ মিনিটে কেরাণীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ডিআইজি মিজানকে আদালতে হাজির করা হয়। পরে অন্য আসামি খন্দকার এনামুল বাছিরকে ১০টা ৩৯ মিনিটে আদালতে তোলা হয়।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের সকল যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের জন্য আজকের তারিখ ধার্য করেন আদালত।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ জুন সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মিজানুরের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে দুদক। সেটির অনুসন্ধান কর্মকর্তা ছিলেন দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির। এ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে রেহাই দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেন বাছির।
এ অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই মিজান ও বাছিরের বিরুদ্ধে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ মামলাটি করেন দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ। ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগ ওঠার পর তাদের দুইজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এ মামলায় পরের বছর ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েসের আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা ফানাফিল্লাহ। এরপর ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের উপস্থিতিতে এ চার্জশিট গ্রহণ করা হয়। ৪ মার্চ দুদকের পক্ষে অভিযোগ গঠন শুনানি শেষ হয়। পরে ১৮ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলার আনুষ্ঠানিক বিচারকাজ শুরু করেন। এ মামলায় ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ নেয়া হয়।
Leave a Reply