সালাহউদ্দিন সালমান।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে কুচিয়ামোড়া-সৈয়দপর সড়কে ফের গণডাকাতি হয়েছে। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অটোরিক্সার যাত্রীদের সর্বস্ব লটে নিয়েছে ডাকাতরা। বুধবার দিবাগত রাত ১২ টায় কচিয়ামোড়া-সৈয়দপুর সড়কের কান্দা নামক স্থানে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে একই স্থানে চার মাসে তিনবার ডাকাতির হয়েছে। কিন্তু এখনও এই ঘটনাগুলোর সাথে সম্পক্তৃ কোন ডাকাক গ্রেফতার হয়নি।
ডাকাতের কবলেপড়া যাত্রী মো.সাদেক হোসেনের (২৬) বড় ভাই প্রিন্স সালমান জানায়, “রাত ১২ টার দিকে সৈয়দপুর কান্দা নামক স্থানে মখোশ পড়া সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত রাস্তায় কলাগাছ ফেলে যাত্রীবাহী দু’টি অটোরিক্সার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকরে । এ সময় ১০-১২ ডাকাত মুখোশ পড়ে হাতে রাম দা-ছুড়ি নিয়ে আমার ভাইসহ ৬ জনকে জিম্মি করে পাচটি মোবাইল সেট এবং নগদ ১৯ হাজার টাকা নিয়ে যায় । কুচিয়ামোড়া-সৈয়দপুর ৫ কিমি সড়কের ২ কিলোমিটার সড়কে ডাকাতদের রাম রাজত্ব চলছে দীর্ঘদিন যাবৎ। ডাকাত চক্রের কবল থেকে রক্ষা পায়নি সাংবাদিক,আওয়ামীলীগ নেতা,মধুপুরের পীর সাহেব থেকে শুরু করে সাধারন মানুষ ।
অহরহ এই রোড ডাকাতির ঘটনায় পরিবহন শ্রমিক ও যাত্রী সাধারনের মধ্যে ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। এই ভরা শীত মৌসমে এই কান্দা নামক এলাকায় সন্ধ্যার পর থেকে ভোর রাত পর্যন্ত কয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ বিরাজ করায় সড়কে ডাকাতের
আতংকের মাত্রা আরও তীব্রতর হচ্ছে। রাজানগর ইউনিয়নের যুবলীগের সভাপতি হোসেন আলী খান বলেন,‘দীর্ঘ দিন যাবৎ একই স্থানে বার বার ডাকাতি আমাদের অস্থির করে তুলছে। গত বছর আমিও ডাকাতির কবলে পড়েছিলাম অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আমাকে জিম্মি করে আমার সব কিছ লুটে নিয়েছিল । এ থেকে আমরা পরিত্রান চাই । রাজানগর ইউপি চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান বলেন,‘গত সপ্তাহে আইনশংখলা মিটিংও আমি ডাকাতির ঘটনা তুলেু ধরেছিলাম। প্রশাসনও আমাকে আশস্ত করেছে তারপরও ডাকাতি হলো আসলে বিষয়টি খুবই দু:খ জনক। একই স্থানে কেন বার বার ডাকাতি হয়।
এ বিষয়ে শেখরনগর ফাড়ির ফাড়ির ইনচার্জ মো.নাসির উদ্দিন জানান,‘ডাকাতি কবলিত এলাকাটি নিরিবিলি,একদিকে ধলেশ্বরী নদী অন্যদিকে চক(বিল) তবে রাত ১২ টা পর্যন্ত প্রতিরাতে আমার ফাড়ির পুলিশ পাহাড়া থাকে। বুধবার রাত ১২ টার পরে হয়তো হয়েছে । তবে এবার শক্ত অবস্থান নিব ।
সিরাজদিখান থানার ওসি মোহাম্মদ বোরহানহান উদ্দিন জানান,শেখরনগর ফারির আইসি বিষয়টি আমাকে ডাকাতির বিষয়টি
জানিয়েছে । যে জায়গায় ঘটনাটি ঘটেছে এখানে সব সময় আমাদের পুলিশ থাকে । বুধবার রাতে ৯৯৯ এর একটি ফোনে পুলিশ কাজ করতে ছিল আর ওই সময়তে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। পলিশের পাশাপাশি এখানে একটি পাহাড়ার ব্যবস্থাও খব জরুরি।
Leave a Reply