স্টাফ রিপার্টারঃ মুন্সীগঞ্জে মাদক সেবীদের হামলায় ইউপি সচিবসহ ৩ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) ৯ টায় সদর উপজেলার ছোট কাটাখালী বাজার এলাকায় ইউপি সচিব গোলাম মোস্তফা, তার ভাই আনোয়ার হোসেন, ছেলে হাসিবুল বাসার হিমেলের ওপর হামলা চালায় মাদকসেবীরা। এতে তারা তিনজন আহত হয়। বর্তমানে তারা মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ঘটনায় ইউপি সচিব গোলাম মোস্তফার ভাই সাবেক পৌর কাউন্সিলর আওলাদ হোসান বাদী হয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
স্থানীয়রা সভ্যতার আলোকে জানান, ইউপি সচিব গোলাম মোস্তফার উপর হামলাকারী মূল হোতা দুলু হাওলাদার এ এলাকার চিহ্নিত জুয়ারী ও মাদক ব্যবসায়ী। এখানে গড়ে তুলেছেন জুয়ার সিন্ডিকেট চলমান করে রেখছেন মাদকের আখড়া। এলাকাবাসী ভয়ে তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে পারছেন না। এদিকে মাদকসেবীদের ব্যবসা ও সেবনে বাধা দেওয়ায় এই হামলা করা হয়েছে বলে অভিযাগ করেছেন ওই ইউপি সচিব। গোলাম মোস্তফা সোনারং-টঙ্গীবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তার বাড়ি রনছ হাওলাদার পাড়া এলাকায়। গোলাম মোস্তফা জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এলাকার কিছু বখাটে নেশাগ্রস্ত হয়ে আমাদের বসতবাড়ীর ভিটায় প্রকাশ্যে মাদক সেবন করে আসছে। গত ( ১০ মার্চ ) সকালে আমার ছেলে তাদেরকে মাদক সেবনে বাঁধা দেয়। এতে বখাটেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার ছেলেকে এলোপাথারি মেরে আহত করে পানিতে ফেলে দেয়। এর জের ধরে এদিন রাতে বাড়িতে ফেরার পথে ছোট কাটাখালী বাজারে পৌঁছালে দুলু হালদার, মিজান, শ্যামল, সবুজ, মাহফুজ, রমজান, আকাশ, কাওসার, মুন্না সহ ১০/১৫ জন অজ্ঞাত বখাটেরা অতর্কিতভাবে আমাকে এলোপাথারি কুপিয়ে জখম করে। এতে আমার ভাই আনোয়ার ও ছেলে হাসিবুল বাসার হিমেল এগিয়ে আসলে তাদেররকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। আহত ইউপি সচিবের স্ত্রী জোসনা
বেগম বলেন, বর্তমানে তার স্বামী মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। প্রশাসনের লোকজন তার খোঁজ খবর নিয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক জানান, ইউপি সচিব গোলাম মোস্তফা সহ তার পরিবারের সদস্যদর ওপর হামলার বিষয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছেন তাদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
Leave a Reply