আজ ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ :

মুন্সিগঞ্জ রমজানকে সামনে রেখে মুরগির বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ। কেজীতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি। ক্রেতাদের ক্ষোভ

মুন্সিগঞ্জ রমজানকে সামনে রেখে মুরগির বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণ। কেজীতে ৭০ থেকে ৮০ টাকা বৃদ্ধি। ক্রেতাদের ক্ষো

<span;>রাসেল মাহমুদ
<span;>মুন্সিগঞ্জ শহরের বড় বাজারের মুরগীর দোকান গুলোতে গেল এক সপ্তাহে ব্রয়লার, সোনালী, দেশীসহ অন্যান্য মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৭০ টাকা পর্যন্ত। এতে টানা তিন সপ্তাহে এসব মুরগির দাম কেজিতে বাড়লো ৭০ থেকে ৮০  টাকা। তবে রাজধানীসহ দের বৃহত্তম বাজার গুলোতে গেল ১ সপ্তাহে  ১৫ টাকা পর্যন্ত  বাড়লেও মুন্সিগঞ্জ বাজারে মুরগীর দাম এতো বৃদ্ধির কারনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ক্রেতাগণ। এর  অনুসন্ধানে  জানাযায়, এখানকার মুরগীর বাজার নিয়ন্ত্রন হচ্ছে একটি প্রভাবশালী সিন্ডিকেট মহলের মাধ্যমে। এ সিন্ডিকেটের হোতা হচ্ছে আবুল হোসেন ো আলমগীর হোসেন গং  দীর্ঘ দিন যাবৎ  মুন্সিগঞ্জ বড় বাজারের মুরগীর বাজার নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখছেন বাজারের সবচেয়ে বড় মুরগী ব্যবসায়ী আবুল হোসেন। তিনি মুরগীর দাম নির্ধারন করেন মনোপলি ভাবে। তার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অন্যান্যদের সঙ্গে কৌশলে বা জোরপূর্বক সমন্ময় করেন তার ভাই আলমগীর হোসেন। তাদের প্রভাবে এখানে  অন্যকেউ মুরগীর ব্যবসা করতে আসতেও সাহস পায়না। বাজারের ১৫ টি দোকানের মধ্যে তার নিজেরসহ পরিবারের প্রায় ১০  টি দোকান রয়েছে এর বাহিরে খোরশেদ, খোকনসহ অন্যান্যদের রয়েছে কয়েকটি দোকান।

<span;>শুক্রবার মুরগীর কেজি বিক্রি করছেন ১৯০ থেকে ২০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৭০ থে ১৯০ টাকা পর্যন্ত। তিন সপ্তাহ আগে ছিল ১৪০ থেকে ১৪৫ টাকা। ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বাড়িয়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালী মুরগিরও। সিন্ডিকেট চক্রটি সোনালী মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা। দুসপ্তাহ আগে এই মুরগির দাম ছিল কেজিপ্রতি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা।
<span;>মুরগির বাজারের মনোপলি সিন্ডিকেট ব্যবসা সম্পর্কে বাজার নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার আলমগীর হোসেন বলেন, দামের বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই যেদিন যে দাম নির্ধারন করা হচ্ছে সে দামেই আমরা বিক্রি করছি। বয়লার মুরগির দাম বাড়ায় সোনালী মুরগির দামও বাড়ছে। মোল্লাকান্দি ইউনিয়নের সফেলা খাতুন নামের ৫০ বছর বয়সী এক মহিলা বলেন, মুরগি কিনতে এসেও এতো দামের কারনে মুরগি না কিনেই ফিরে যাচ্ছি। দক্ষিন মহাকালি গ্রামের শফিকুল ইসলাম বলেন, সিন্ডিকেটের মাধ্যমে এখানে মুরগির দাম বাড়ানো হচ্ছে এখানকার ব্যবসায়ীদের ইচ্ছে মতো। রমজান মাস খেতে হবে তাই বাধ্য হয়েই বেশী দামে মুরগি কিনতে হচ্ছে বেশী দামে। রমজানকে সামনে রেখে এই সিন্ডিকেট বানিজ্যের অবসান চাই আমরা। রমজান শুরুর আগে পরে এখনো পর্যন্ত বাজার মনিটরিং কোন সংস্থা বা ভোক্তা অধিকার বা অন্যান্য কোন মোবাইল কোর্ট মুরগির বাজার অভিযানে এখনো পর্যন্ত দেখা যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ :