আজ ২০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ :

মুরগির বর্জ্যে পোকা সভ্যতার আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান 

মুরগির বর্জ্যে পোকা

সভ্যতার আলোতে সংবাদ প্রকাশের পর অভিযান

রাসেল মাহমুদ
মুন্সীগঞ্জ মুরগি বাজারের অব্যবস্থাপনায়
ময়লা আবর্জনায় পুরো বাজার জুড়ে এর প্রভাব ছড়িয়ে পরেছে।  যেখানে সেখানে মুরগির নারি ভুড়িসহ অন্যান্য বর্জ্য ফেলানোর কারনে জুবলি রোড থেকে বাজারে প্রবেশ করা লোকজনের নাক বন্ধ করে প্রবেশ করতে হয়। এসব আবর্জনার  দূর্ঘন্ধ ছড়িয়ে পরছে বাজার জুড়ে।  নারী ভূড়ির বর্জ্য যত্রতন্ত্র ফেলার কারনে বাজারের ড্রেনেজ ব্যবস্থা অনেক সময়ই অচল হয়ে পরে। সামান্য বৃষ্টি বা পানি জমলেই মুরগির অবশিষ্ট ময়লা আটকে ড্রেন বন্দ হয়ে ময়লা ড্রেন উপচে উপরে উঠে আসে। এসময় অসহনীয় দূর্গন্ধে বাজারে ব্যবসায়ী ও ত্রেতাদের স্বাভাবিক চলাফেরকও অসম্ভব হয়ে পরে। ড্রেনে জমে থাকা নারি ভূড়ির ময়লা থেকে এক ধরনের ছোট বড় পোকার সৃষ্টি হয়ে তা ছড়িয়ে পরে বাজার জুড়ে।  এছাড়ার কোন নিয়োমনিতী তোয়াক্কা না করে জুবলী রোডে ( বঙ্গবন্ধু সড়কে) মুরগির দোকান গুলোর সামনে প্রধান সড়কে মুরগির খাচা অবাদে ফেলে রেখে ব্যস্ততম সড়কটি দখল করে রাখাসহ সারাদিনই মালামাল আননোড করে আটো, মিশুক ও খাচা বিশিষ্ট ছোট বড় ট্রাকের মাধ্যমে। এতে প্রধান সড়কে প্রতিনিয়তোই যানজটের সৃষ্টি হয়ে থাকে। চলাচলে অসুবিধার মুখে পরা কোন লোকজন এতে বাধা দিতে আসলে তাদের নিয়োজিত কুলি ও অটো, মিশুক ড্রাইভারদের মাধ্যমে প্রতিবাদি লোকজনদে নাজেহাল করা হয় মুরগি সিন্ডিকেটের অন্যতম সদস্য আলমগীর হোসেনের নেতৃত্বে। অনেক বাজার ব্যবসায়ীরা এসব বিষয়ে তাদের উপর ক্ষোভ থাকলেও ভয়ে তাদের কেউ কিছু বলতে পারেনা। বাজারের একজন ক্রেতা তেলির বিল এলাকার রাকিব উদ্দিন বলেন, বাজারের প্রবেশ মুখেই যানজট, ডোকার মখেই মুরগির বর্জ্যের অসহনীয় দূর্ঘন্ধ, ময়লার স্তুপ এসব দেখে তিনি বলেন এভাবে বড় বাজারের ব্যবস্থাপনা হতে পারেনা। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতাসহ বাজার দ্রব্য মূল্য নিয়োমিত মনিটরিং করা উচিত দায়িত্বশীলদের। বাজারের গরুর মাংস ব্যবসায়ী  <span;>মো: জুলমত খন্দকার বলেন, সামন্য বৃষ্টি হলেই ড্রেন থেকে মুরগির বর্জ্যের দূর্ঘন্ধ বাজার জুড়ে ছড়িয়ে পরে। মুরগীর নারি ভূরি থেকে সৃষ্টি হওয়া এক ধরনের পোকা ড্রেন থেকে উঠে এসে বাজারের বিভিন্ন স্থানে কিলবিল করে। এতে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের চরম দূর্ভোগ পোহাতে হয়। মুরগি সিন্ডিকেটের হোতা আবুল হোসেন বলেন, আমরা মুরগির নারী ভুড়ি ড্রেনে ফালািনা, আমাদের দোকানের এসব বর্জ্য মাছের খাবার হিসাবে বিক্রি করে দেই। অন্য কেউ ড্রেনে এসব বর্জ্য ফেলে কিনা এসব আমার দেখার বিষয়না। এছাড়াও প্রধান সড়কে আমার দোকানের কোন খাচা রেখে যানজটের সৃষ্টি করিনা অন্য কোন মুরগির দোকানীরা রাখতে পারে সেটা তাদের বিষয়। মুন্সীগঞ্জ শহর বড় বাজার ব্যবসায়ী কমিটির সাধারন সম্পাদক কামরুজ্জামান লিন্টু বলেন, জেলা প্রশাসক কার্যলয় বা পৌরসভা যেখানেই মিটিং হয় সেখানেই বাজারের এই ময়লা আর্বজনা বাজারের মুখে যাজটের সমস্যা নিয়ে জবাবদিহিতা করতে হয়। বাজারের ড্রেন ময়লা সামন্য বৃষ্টিতেই ড্রেন থেকে উঠে আসা পোকা সংক্রান্ত বিষয়ে মুরগি ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সময় কমিটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে বাজারে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন বজায় রাখার জন্য। গলির মুখে আগে ১০/১২ টি খাচা বসিয়ে বাজারের প্রবেশ মুখ প্রায় বন্ধ করে রাখার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখা হতো এব্যপারে পৌরসভা থেকে ব্যবস্থা গ্রহন করে খাচা গুলো তুলে দেয়া হয়েছে এতে এখন ত্রেতাদের চলাফেরায় অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে।  <span;>সদর এসিল্যান্ড মোঃ কামরুল হাসান মারুফ বলেন, আমারা আজকে মুরগির বাজারসহ অন্যান্য দোকানে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে অভিযান চালিয়েছি। দামের মূল্য তালিকা প্রতিদিন মনিটরিং করা হবে। দুটি দোকানে ৫ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। মুরগি দোকান গুলোতে লাষ্ট ওয়ার্নিং দেয়া হয়েছে। তারা যদি ভোক্তা অধিকারে অনিয়োম করে সে ব্যাপারে কঠোর হবে মোবাি  সিভিলে ক্রেতা সেজে আমাদের মনিটরিং টিম থাকবে তারা নিয়োমের ব্যত্তয় ঘটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ :