ইমরানকে বিদায় করতে পার্লামেন্টের ৩৪২ আইনপ্রণেতার মধ্যে অন্তত ১৭২ জনের সমর্থন প্রয়োজন ছিল বিরোধীদের। সেখানে ১৭৪ ভোট পেয়ে তাদের অনাস্থা প্রস্তাব পাস হলে ক্ষমতায় আসার সাড়ে তিন বছরের মাথায় ইমরানের বিদায় নিশ্চিত হয়।
পাকিস্তান হল সেই দেশ, যেখানে কোনো সরকারপ্রধান তার মেয়াদের পুরো সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেননি। তবে ৬৯ বছর বয়সী ইমরান খানই পাকিস্তানের প্রথম প্রধানমন্ত্রী, যাকে পার্লামেন্টে আস্থা ভোটে হেরে বিদায় নিতে হল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে শনিবার সকালে অধিবেশন বসার পর নানাভাবে আস্থা ভোট এড়ানোর চেষ্টা করে গেছে ক্ষমতাসীন দল। শেষ পর্যন্ত পার্লামেন্টের স্পিকার আসাদ কাইসার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি তার আনুগত্য বজায় রেখে পদত্যাগ করেন।
ইমরান খানের দল পিটিআইয়ের এমপিরা অধিবেশন থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন; ইমরান নিজেও পার্লামেন্টে ছিলেন না।
এরপর ভারপ্রাপ্ত স্পিকার আয়াজ সাদিকের সভাপতিত্বে অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়, যার ফলাফল নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল আগেই।
পাকিস্তানের আইনসভা এখন নতুন একজন নতুন প্রধানমন্ত্রী বেছে নেবে। সেজন্য আগামী সোমবার জাতীয় পারিষদে আবার ভোটাভুটি হবে। সেজন্য রোবার বেলা ১১টার মধ্যে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে।
এতদিন বিরোধী দলের আসনে থাকা দলগুলোর জোট ইতোমধ্যে পাকিস্তান মুসলিম লীগের নেতা শাহবাজ শরিফকে তাদের প্রার্থী মনোনীত করেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই শাহবাজের তোলা অনাস্থা প্রস্তাবেই ইমরান খানের পিটিআই সরেকারের পতন ঘটল।
ভোটাভুটি শেষে বিরোধী দলীয় নেতা শাহবাজ শরিফ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলেন, “পাকিস্তানে আজ নতুন ভোরের সূচনা হল, আমরা পাকিস্তানকে নতুন করে গড়ে তুলব।
Leave a Reply