আজ ২০শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৬ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ :

ভিজিডি উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে সরকার

 

স্টাফ রিপোর্টার: সরকার ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে। বর্তমানে দেশে ভিজিডি উপকারভোগী নারীর সংখ্যা দশ লাখ চল্লিশ হাজার। গ্রামীণ এলাকায় দুঃস্থ নারীদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা এক লাখ দশ হাজার বৃদ্ধি করে ২০২৩-২০২৪ মেয়াদে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার। গত ১০ এপ্রিল ২০২২ তারিখে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সংক্রান্ত মন্ত্রীসভা কমিটির সভায় উপকারভোগী বৃদ্ধির প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল (এনএসএসএস) নির্দেশনা মোতাবেক পরিবর্তন হচ্ছে ভিজিডি’র নাম। আগামী ২০২৩ সাল থেকে ভিজিডি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রাম (VWBP) নামে রুপান্তরিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদকৃত উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলা ভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।

রবিবার ঢাকায় ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে ভিজিডি কর্মসূচির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় এ তথ্য জানানো হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মত নাজমানারা খানুম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ডা. আ. এ. মো. মহিউদ্দীন ওসমানী।

 

সভায় মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীন দুঃস্থ মহিলাদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। এ কর্মসূচি দুঃস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। যা নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক স্বচ্ছলতা নিশ্চিত করছে।

 

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এ সময় উপজেলা ভিত্তিক দারিদ্র্য এলাকা সঠিকভাবে বিবেচনা করে স্বচ্ছতার সাথে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। সভায় পুষ্টি চাল বিতরণ, উপকারীভোগীদের সঞ্চয় ও এনজিওর সার্ভিস চার্জ বিষয়ে আলোচনা হয়। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির সূচির প্রতিনিধিবৃন্দ।

 

 

 

 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ :