স্টাফ রিপোর্টার: মেয়ে মেডিকেলে চান্স পাওয়ায় খুশি হলেও ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন ঠাকুরগাঁওয়ের এক ভ্যানচালক বাবা। এ নিয়ে গত ৭ এপ্রিল একটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন মেডিকেল কলেজে ভর্তির বিষয়ে আলপনা নামের ওই শিক্ষার্থীর পাশে থাকবে জেলা প্রশাসন। সেই প্রেক্ষিতে সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আলপনা আক্তার ও তার বাবা আফতাবর রহমানকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আর্থিক সহায়তা দিলেন জেলা প্রশাসক।
আফতাবর রহমানের বাড়ী ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়পলাশবাড়ী ইউনিয়নের বেলসাড়া গ্রামে। ভিটেমাটি আর ভ্যান গাড়ী ছাড়া কোনো সম্পদ নেই তার। ভ্যান চালিয়ে তিনি সন্তানদের পড়াশোনার খরচ ও সংসার চালান। তিনি বলেন, ‘ভাবতেই পারিনি যে একজন জেলা প্রশাসক আমাকে ও আমার মেয়েকে ডেকে এভাবে সহায়তা করবেন। আগে মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে খুব চিন্তায় ছিলাম এখন আর সেই চিন্তা নেই। এমন মানবিক জেলা প্রশাসাক প্রতিটি জেলায় থাকলে আমাদের মত গরিবসহ সকল ধরণের মানুষ উপকৃত হবে।’
আলপনা আক্তার বলেন, ‘ডিসি স্যার আমাকে এভাবে সহায়তা করায় সত্যিই আমি খুব আনন্দিত ও খুশি। এখন আর ভর্তির টাকা নিয়ে আমাকে চিন্তা করতে হবে না। ভবিষ্যতে পড়াশোনা করে যদি আমি ডাক্তার হতে পারি তাহলে আমি ডিসি স্যারের মতো অসহায় ও দরিদ্রদের সহায়তা করবো ইনশাআল্লাহ।
জেলা প্রশাসক মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আলপনার পিতা দরিদ্র ও ভ্যানচালিয়ে সংসার চালান এমন অবস্থায় মেয়েকে মেডিকেলে ভর্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন। তিনি তাই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে কিছু আর্থিক সহায়তা করা হয়েছে।’
‘ভবিষ্যতে আলপনার পড়াশোনার খরচ চালানো নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন তার বাবা আফতাবর রহমান।’ —এমন কথা জেলা প্রশাসককে জানানো হলে তিনি আরও বলেন, ‘ভবিষ্যতে যদি পড়াশোনার খরচ বহন করতে না পারে তাহলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে আরও সহায়তা করা হবে। আলপনার স্বপ্নপূরণে জেলা প্রশাসন পাশে থাকবে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যত কামনা করছি
Leave a Reply