আজ ২৩শে মার্চ, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ, ৯ই চৈত্র, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ :

শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুট: শিমুলিয়া ঘাটে ঈদ যাত্রায় জনস্রোত

মো. শওকত হোসেন:
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে ঈদ যাত্রায় জনস্রোত। অতিরিক্ত যাত্রী ও কয়েক হাজার মোটরসাইকেলের চাপে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে শিমুলিয়া ফেরি ঘাট এলাকা। গত কয়েক দিনের মতো আজও ভোর থেকে প্রচণ্ড যাত্রী ও মোটরসাইকেলের ঢল নেমেছে। ফেরি ও লঞ্চে পদ্মা পাড়ি দিয়ে পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে ঘাটে এসে ভিড় করেছে ঘরমুখী মানুষ। এ সময় ঘাট পারের অপেক্ষায় শত শত ছোট যানবাহন ও মোটরসাইকেলের সারি তৈরি হয়েছে।
আজ রোববার (১ মে) সকাল ৮টার দিকে শিমুলিয়া ঘাটে দেখা যায় লঞ্চঘাটে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছে যাত্রীরা।
এর আগে গতকাল শনিবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ রাখা হয়। পরে রোববার (১ মে) ভোর ৬টা থেকে পুনরায় লঞ্চ চলাচল শুরু করা হয়েছে। শিমুলিয়-বাংলাবাজার-মাঝিরকান্দি নৌরুটে বর্তমানে ১০টি ফেরি, ১৫৫টি স্পিডবোট ও ৮৫টি লঞ্চ দিয়ে যাত্রী ও যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, আজ রোববার সকাল থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ও মাঝিকান্দি নৌরুটে পদ্মা পারি দিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ঘাটে আসছে হাজার হাজার যাত্রী। মোটরসাইকেল ও যাত্রী পারাপারে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে  ঘাট কর্তৃপক্ষ। বিপুল সংখ্যক মোটরসাইকেল ১নং ফেরিঘাটে। এই ঘাট দিয়ে শুধু মোটরসাইকেল যাত্রীদের পারাপার করা হচ্ছে। বাকি দুই ঘাট দিয়ে ব্যক্তিগত ও ছোটগাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। এরপরও চাপ সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা। লঞ্চঘাটে আজও গাদাগাদি ভিড়। লঞ্চঘাটের অ্যাপ্রোচ সড়ক ও সিঁড়িতে যাত্রীদের দীর্ঘ জট থামছে না।
এদিকে রোববার ঘাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না কোনো বাস। ঘাটের অভিমুখের কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। কিলোমিটারের পর কিলোমিটার হেঁটেই ঘাটে আসছেন বাসযাত্রীরা।
বিআইডব্লিউটিএ শিমুলিয়া নদী বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক শাহাদাত হোসেন জানান, আজ যাত্রীচাপ অনেক বেশি। সকাল থেকে লঞ্চ সচল রয়েছে। সুশৃঙ্খলভাবে যাত্রী পারাপারের জন্য আমরা চেষ্টা করছি।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীন নৌপরিবহন কর্পোরেশন বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল আহম্মেদ জানান, দুই নৌরুটে ১টি রোরো, ২টি মিনি রোরো, ২টি কেটাইপ ও ২টি ডাম্পসহ মাত্র ১০টি ফেরি সচল রয়েছে।#

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ :