মো. শওকত হোসেন: মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ে উপজেলা প্রশাসন ও মহিলা অধিদপ্তরের আয়োজনে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে মধুরতম ডাক ‘মা’। ছোট্ট এ শব্দের অতলে লুকানো থাকে গভীর স্নেহ, মমতা আর অকৃত্রিম দরদ। ভ্রুণ থেকে দশটি মাস গর্ভে ধারণ করে যে মা সন্তানকে পৃথিবীর আলো দেখান, সেই মায়ের সম্মানে তারই চরণে আজকের এ দিনে নত তাবৎ পৃথিবীর সন্তানেরা।
মাকে ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা জানাতে কোনো দিনক্ষণ প্রয়োজন হয়। মায়ের জন্য প্রতিদিনই সন্তানের ভালোবাসা থাকে। তবুও আলাদা করে একটু ভালোবাসা জানাতেই দিনটি। তাইতো মমতাময়ী মায়ের সম্মানে প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার ‘বিশ্ব মা দিবস’ পালন করা হয়।গতকাল রোববার সকাল ১১টার দিকে লৌহজং মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গণে মায়ের প্রতি সন্তানের ভালোবাসা ও শ্রোদ্ধাবোধ এর মাধ্যমে বিশ্ব মা দিবস পালিত হয়। এ সময় সন্তানেরা তাদের মা’কে লাল গোলাপ দিয়ে ভালোবাসা বিনিময় করে। সর্বশেষ মা’য়ের পা পানি দিয়ে ধুয়ে মা’কে শ্রদ্ধা যানান।
অনুষ্ঠানটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল আউয়ালের সভাপতিত্বে ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আরাধনা রাণী কর্মকার এর সঞ্চালনায়, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. তোফাজ্জল হোসেন তপন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দেওয়ান মো. জাহাঙ্গীর, লৌহজং মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ মো. ফেরদাউস হিলাল প্রমুখ
উলেখ্য: প্রাচীন গ্রিসে বিশ্ব মা দিবস পালন করা হলেও আধুনিককালে এর প্রবর্তন করেন এক মার্কিন নারী। ১৯০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের আনা জারভিস নামের নারী মারা গেলে তার মেয়ে আনা মারিয়া রিভস জারভিস মায়ের কাজকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য সচেষ্ট হন।
ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯১৪ সালের ৮ মে মার্কিন কংগ্রেস মে মাসের দ্বিতীয় রোববারকে ‘মা’ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। এভাবেই শুরু হয় মা দিবসের যাত্রা। এরই ধারাবাহিকতায় আমেরিকার পাশাপাশি মা দিবস এখন বাংলাদেশসহ অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চীন, রাশিয়া ও জার্মানসহ শতাধিক দেশে মর্যাদার সঙ্গে পালিত হচ্ছে।#
Leave a Reply