মোঃ সাগর হোসেনঃ
মুন্সীগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভােকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেছেন, কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির চিরন্তণ বাতিঘর। বাংলা, বাঙালি এবং রবীন্দ্রনাথ এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলা সাহিত্য ও বাঙালি সংস্কৃতির বিকাশ, উৎকর্ষে রবীন্দ্রনাথের প্রভাব ও অবদান অসামান্য। রবিবার বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে জেলা প্রশাসন আয়ােজিত আলােচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শীলু রায়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আব্দুল মােমেন পিপিএম, সিভিল সার্জন মঞ্জুরুল আলম, সরকারি হরগঙ্গা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ আব্দুল হাই তালুকদার, মুন্সীগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুভাষ চন্দ্র হীরা, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মােঃ আনিছ উজ্জামান, পৌর মেয়র হাজী মােহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লব, দৈনিক সভ্যতার আলাের সম্পাদক মীর
নাসিরউদ্দিন উজ্জল।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী অধ্যাপক মু. রহমতউল্লাহ্ জুয়েল। অ্যাডভােকেট মৃণাল কান্তি দাস এমপি বলেন, রবীন্দ্র সাহিত্যের বিশালতা ও গভীরতায় বাঙালি জাতি ঋদ্ধ হয়েছে। কালজয়ী এই কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে, যা তাঁর
কবিতা, ছােটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণ কাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় উৎসারিত হয়েছে। কোথায় নেই তিনি! বাংলা সাহিত্যের এমন কোনাে শাখা নেই যেখানে রবীন্দ্রনাথের জাদুকরি হাতের স্পর্শ পড়েনি। তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের অমর সৃষ্টি তাঁর গান আমাদের জীবনের সকল অনুভূতি, সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনার নিত্য সঙ্গী। বাঙালি তাঁর সকল সংকট, সংগ্রাম অতিক্রম করেছে তাঁর গান গলায় ধারণ করে। তিনি সকল মানুষের কথা এবং সামগ্রিক সাম্যের বাণী প্রচার করতে চেয়েছেন। বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক মানবতাবাদী সংস্কৃতির ক্ষেত্র বিকাশে নিরলস চেষ্টা করেছেন, তাদের বাতিঘর
ছিলেন রবীন্দ্রনাথ।
Leave a Reply