সালাহউদ্দিন সালমান।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে (৮) ধর্ষণের অভিযোগে,ধর্ষককে আটক করে পুলিশ সোপর্দ করেছে ধর্ষিতার লোকজন। পুলিশ ২০মে শুক্রবার দুপুরে ধর্ষক জাহিদকে (১৫)মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৯মে ) বিকাল ৫টায় উপজেলার শেখের নগর ইউনিয়নের ফৈনপুর গ্রামে ধর্ষক জিহাদ হোসেন তার প্রতিবেশী ধর্ষিতা শিশুকে ডেকে তাদের দোচালা টিনের ঘরের ভিতর নিয়ে যায়। পরে ধর্ষক জিহাদ ধর্ষিতাকে ঘরের মধ্যে রেখে বাহির হয়ে ওই ঘরের দরজায় তালা মেরে জানালা দিয়ে পুনরায় ঘরে প্রবেশ করে। পরে ধর্ষিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ধর্ষণ করে বিষয়টি কাউকে না বলার কথা বলিয়া তাকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরে বাড়িতে এসে ধর্ষিতা অসুস্থ হয়ে পড়লে ধর্ষিতার মা ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ভিকটিম অকপটে মায়ের কাছে ধর্ষণের বিষয়টি স্বীকার করে। এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় বিবাদী জিহাদ হোসেনকে ফৈনপুর তার মামার বাড়িতে আটক করে শেখেরনগর পুলিশ ফাড়িতে খবর দিলে ফাড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ধর্ষক জিহাদকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।
ধর্ষিতা পায়েল আক্তার ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছে। সে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
এ ঘটনায় ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে সিরাজদিখান থানায় অভিযোগ দায়ের করলে সিরাজদিখান থানায় উক্ত অভিযোগ খানা এজাহার রূপে গন্য করে ২০০০সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন সংশোধন ২০০৩ এর ৯(১) ধারায় একটি মামলা রুজু করেন। ধর্ষক জিহাদ ফৈনপুর পশ্চিমহাটি গ্রামের মো: জুয়েল মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে সিরাজদিখান থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি একেএম মিজানুল হক বলেন, ধর্ষককে গ্রেফতার করে মুন্সীগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে ঘটনার পরপরই ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply