স্টাফ রিপোর্টার: ‘মানবিকতাকে কাজে লাগাতে পারাই মানুষের সার্থকতা। সেই কাজটাই করছে স্বেচ্ছায় রক্তদাতারা। নিঃস্বার্থ এসব রক্তদাতা এ দেশের বীর। রক্তদানের মতো মহৎ কাজে
এমন আরো অনেক বীর সংযুক্ত করতে হবে।’
রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ
(আইডিইবি) মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার (১৯ মে ২০২২) সন্ধ্যায় কোয়ান্টাম
ফাউন্ডেশন আয়োজিত রক্তদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি
হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান।
অনুষ্ঠানে কমপক্ষে ১০ বার, ২৫ বার এবং ৫০ বার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছেন-এমন
তিন শতাধিক স্বেচ্ছা রক্তদাতাকে সম্মাননা জানায় কোয়ান্টাম। এসময় স্বেচ্ছা
রক্তদাতাদের সনদপত্র, বিশেষ আইডি কার্ড, সম্মাননা ক্রেস্ট ও মেডেল প্রদান
করা হয়।এতে অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বর্তমান সময়ের তরুণদের উল্লেখ করে আরো বলেন, তরুণদের ভয়কে জয় করতে হবে। অন্যকে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। বর্তমানের
সমাজের তরুণদের মধ্য থেকে হতাশা দূর করতে হবে। আর হতাশা দূর করতে মেডিটেশন
গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। অনুষ্ঠােন স্বেচ্ছা রক্তদাতাদের পক্ষে অনুভূতি বর্ণনা করেন ডা. শাহিদা করিম
এবং নিয়মিত রক্তগ্রহীতাদের মধ্য থেকে অনুভূতির কথা জানান থ্যালাসেমিয়ায়
আক্রান্ত মাসুমা হোসেন তন্বী। এছাড়া রক্তদানে অবদান রাখার জন্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়
এবং ব্যতিক্রমী রক্তদাতা দম্পতি প্রফেসর ডা. আহমদ মরতুজা চৌধুরী এবং
প্রফেসর হাসনে আরা বেগমকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। যারা ৩৯ ও ৩৮ বার রক্ত দান করেছেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম কোয়ান্টামফাউন্ডেশনের পরিচালক মোটিভেশন এম রেজাউল হাসান। সভাপতিত্ব করেন স্বেচ্ছা রক্তদান কার্যক্রম, কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রধান সমন্বয়ক মাদামনাহার আল বোখারী। নিয়মিত রক্তদাতাদের আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে দেশের রক্তের চাহিদার ঘাটতি মেটানোর আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। উল্লেখ্য, আমাদের দেশে প্রতিবছর প্রায় আট লক্ষ ব্যাগ নিরাপদ ও সুস্থ রক্তের চাহিদা রয়েছে। রক্ত ঘাটতির বিপুল এ চাহিদা পূরণের লক্ষ্যেই ১৯৯৬ সাল থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্বেচ্ছারক্তদান কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোয়ান্টাম। গত দুই দশকের প্রচেষ্টায় ১৩ লক্ষাধিক মানুষের জীবন রক্ষায় ভূমিকা রাখতে সক্ষম হয়েছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন।
Leave a Reply