লৌহজং প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার পদ্মা নদীতে প্রচন্ড স্রোত ও ঢেউয়ের কারনে ধান বোঝাই ট্রলার ডুবে দুই কৃষাণ নিখোঁজ রয়েছে। ট্রলারটি সিলেট থেকে ফরিদপুর যাওয়ার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার মাওয়া সংলগ্ন পদ্মা সেতুর অদূরে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজরা হলেন- ট্রলারে থাকা ধান কাটার শ্রমিক মাদারীপুরের শিবচরের রাজারকান্দি গ্রামের হেলাল (৩৫) ও দাদন (৪০)।
খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার অভিযানে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। উদ্ধার অভিযান আসা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের প্রধান আবুল খায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ডুবে যাওয়া ট্রলারটিতে ১৫ জন ধান কাটার শ্রমিক ছিলেন। তারা সিলেট থেকে ফরিদপুরে যাচ্ছিলেন। সকালে মাওয়া এলাকায় পৌঁছালে তীব্র ঢেউ ও প্রবল স্রোতের কবলে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ সময় ট্রলারে থাকা ১৩ জন সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও দুজন নিখোঁজ থাকেন।
ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, খবর পেয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযানে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় আমাদের টিম। তবে নদীতে তীব্র স্রোতের কারণে অভিযান শুরু করা যাচ্ছে না।
মাওয়ায় নৌপুলিশ স্টেশনের ইনচার্জ আবু তাহের মিয়া বলেন, এখনও দাদন ও হেলাল নামক দুইজন নিখোঁজ রয়েছে । সাঁতরে তীরে ওঠা ১৩ জন শিমুলিয়াঘাটে নিরাপদে আছেন। নিখোঁজদের অবস্থান এখনো শনাক্ত করা যায়নি। তাদের বাসা মাদারীপুরের শিবচর রাজারকান্দি গ্রামে। পদ্মায় প্রচন্ড স্রোত ও প্রবল ঢেউয়ে সাড়ে ৩শ মণ ধান ও ১৫ জন লোক নিয়ে ট্রলারটি ডুবে যায়। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৩ জনকে উদ্ধার করা হয়। তিনি আরও জানান আমাদের ডুবুরির মাধ্যমে উদ্ধার তৎপরতা চলছে।
লৌহজং উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল আওয়াল বলেন, ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি তলব করা হয়েছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে নিখোঁজদের সন্ধান চলছে। কোস্টগার্ডের টহল টিম পদ্মায় দুর্ঘটনাস্থল চিহ্নিত করার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও জানান, কৃষাণরা ট্রলারে করে পদ্মা পার হচ্ছিল। তবে উত্তাল পদ্মায় ট্রলার চলাচল নিষিদ্ধ থাকলেও কেন চলচল করছিল সে ব্যাপারেও পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানান তিনি। #
Leave a Reply