নিহতের বাবা আজিজুল হক সরকার জানান, ‘আমার ছেলে সোহল রানা রাজধানী প্যারিসের একটি রেস্টুরেন্টে রাতের বেলা কাজ করতেন। ছেলে কর্মচারী হলেও মালিকসহ সবাই আমার ছেলেকে খুব আদর করত। প্রতিদিনের মতো গেল শনিবার ভোর ৫টার দিকে রেস্টুরেন্টে কাজ শেষ করে সবাই বাসার উদ্দেশে বের হয়ে গেলে আমার ছেলে বের হয় ১০ মিনিট পর।
রেস্টুরেন্টের কাছের একটি গলিতে ৪ সন্ত্রাসী মিলে আমার ছেলেকে মারধর করে পালিয়ে যায় তবে মাথার আঘাতটা ছিল খুব বেশি। পরে পুলিশ এসে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। ৪ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টার দিকে সোহেল চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যায়। নিহতের ঘটনায় রেস্টুরেন্টের মালিক বাদী হয়ে ফ্রান্সের একটি থানায় মামলা দায়ের করেছেনও বলে জানান তিনি।
সোহেল রানার মৃত্যুর খবর শোনে তার নিজ বাড়ির স্বজনদের মধ্যে চলছে মাতম। লতব্দী ইউপি চেয়ারম্যান হাফেজ মো. ফজলুল হক শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, ‘খুবই দুঃখজনক ঘটনা। খবরটি শোনার পর আমি মর্মাহত হয়েছি।
সিরাজদিখান থানার ওসি (তদন্ত) মো. আজগর হোসেন জানান, মেসেজটা আমরা পেয়ে নিহতের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়েছি। তবে নিহতের বাবা-মা ঢাকায় শান্তিনগরে বসবাস করেন তাই তাদের সঙ্গে মোবাইলে খোঁজখবর আমরা নিচ্ছি।
Leave a Reply