মোঃ সাগর হোসেনঃ
পদ্মা, মেঘনা ও ধলেশ্বরী নদী পথে আসতে শুর করেছে কোরবানীর পশু। মুন্সীগঞ্জের বিভিন্ন পশুর হাটে সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়াসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা আসছেন গরু নিয়ে। ইতোমধ্যে ঈদুল আযহাকে কেন্দ্র করে কোরবানীর পশুর হাটের সব ধরনের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
এদিকে নদী পথে গরুর ট্রলারে ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে সক্রিয় রয়েছে নৌ পুলিশ। ঈদুল আযহা উপলক্ষে নৌ পথে প্রতি বছরই গরু সন্ত্রাসীদের তৎপরতা বেড়ে যায়। ট্রলার থেকে গরু ছিনিয়ে নিয়ে নিজ নিজ হাটে তোলার অপতৎপরতা শুরু হয়।
তবে গরু সন্ত্রাসীদের রোধে মঙ্গলবার সকাল থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম করতে দেখা যায় মুক্তারপুর নৌ ফাড়িঁর পুলিশ সদস্যদের। সদর উপজেলার মিরকাদিম পৌরসভা, মুক্তারপুর ও টংগিবাড়ী উপজেলার আব্দুল্লাহপুর, বেতকা, সুধারচর সহ বেশ কয়েকটি পশুর হাটে আসা গরু ব্যবসায়ী ও মালিকদের সাথে কথা বলেন মুক্তারপুর নৌ পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান।
এসময় তিনি ব্যবসায়ীদের যেকোনো প্রয়োজনে নৌ পুলিশের মোবাইল নাম্বার সম্বলিত লিফলেট বিতরণ করেন এবং গরুর বাজার দর এবং সুবিধা ও অসুবিধা সম্পর্কে খোজঁখবর নেন ব্যবসায়ী ও মালিকদের।
নৌ পুলিশ ফাড়িঁর ইনচার্জ মোঃ লুৎফর রহমান জানান, একজন ব্যাপারী অনেক কষ্ট করে তার পশু পালন করে বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন। তার গরুর রশি ধরে টান দেয়া হবে, তা হবেনা। সে যে হাটে ইচ্ছা সেই হাটেই যাবে। তাকে জোর করে কোথাও নামানো যাবেনা। নৌ পথে ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি রোধে বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করেছি। আশা করি কোথাও কোণ অভিযোগ থাকবেনা, যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় বিন্দুমাত্র ছাড় দেয়া হবেনা।
অভিযোগ থাকে গরুর ব্যাপারী তাদের ইচ্ছামতো হাটে যেতে চাইলেও অনেক সময় রশি টেনে তাদের জোর করে থামিয়ে গরু নামিয়ে নেওয়া হয়। এ ধরনের কাজ করতে দেওয়া হবে না। কেউ এ ধরনের চেষ্টা করলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আইনের আওতায় আনা হবে। ব্যাপারীরা যে হাটে ইচ্ছা সে হাটে গরু নামাবেন।
Leave a Reply