মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখার জন্য শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী নির্বাচিত হয়েছেন মো. চঞ্চল ফকির। গতকাল সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরের উপজেলা শিক্ষা অফিসে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী সমাজকর্মী বাছাই কমিটি’র সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৭৬টি সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ে মধ্যে ক্লাস্টার পর্যায়ে ৪ ক্লাস্টার থেকে ৪ জন শ্রেষ্ঠ বিদ্যুৎসাহী হয়ে আসেন। এতে শিক্ষার মানোন্নয়নসহ বিভিন্ন জড়িপে গাওদিয়া ইউনিয়নের ফলপাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদুৎসাহী সদস্য ও সহ-সভাপতি মো. চঞ্চল ফকিরকে লিখিতভাবে নির্বাচিত করা হয়েছে।
জানা যায়, উপজেলার ১০ টি ইউনিয়ন ৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জড়িপ চালিয়ে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি, স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবহারে উদ্বোদ্ধ করা, বাথরুম নির্মান, বিদ্যালয়ে ওয়াল তৈরী ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় অবদান, বিদ্যালয়ে সৌন্দর্য বর্ধনে ফুল ও ফলজবৃক্ষ রোপণ, খেলা-ধূলার সামগ্রী বিতরণ, ব্যাক্তিগত অর্থায়নে বিদ্যালয় সমূহ ও শিক্ষার্থীদের মানোন্নয়নে মধ্যে সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে শ্রেষ্ঠ বিদ্যোৎসাহী নির্বাচিত হন।
মো. চঞ্চল ফকির উপজেলার গাওদিয়া ইউনিয়নের ফলপাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিদুৎসাহী সদস্য ও সহ-সভাপতি। তিনি ব্যবসায়ী, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সমাজ সেবক।
এক সাক্ষাৎকারে এ সমাজ হিতৈষী মো. চঞ্চল ফকির বলেন, ফলপাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও পরে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে শিক্ষার মান উন্নয়নে কাজ করেছি। বিশেষ করে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারগন, বিদ্যালয়ের শিক্ষক ম্যানেজিং কমিটি, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার সর্বস্তরের মানুষের সার্ভিক সহযোগীতা পেয়েছি।
আমি সরকারি সকল জাতীয় দিবসে উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থীদের উৎসাহ যুগেয়েছি এবং বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেছি। এ প্লাস পাপ্তদের নিজস্ব অর্থ থেকে নগদ টাকা বিতরণ করেছি, স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পিকনিক করিয়েছি,উপজেলা প্রর্যায়ে বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে আমার স্কুল বিজয়ী হওয়ায় আমি নিজ খরচে শিক্ষার্থীদের পদ্মা সেতু ভ্রমন করিয়েছি। এছাড়া মহামারি করোনাকালীন সময়ে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে মাস্ক ও স্যানেটাশন বিতরণ করেছি। অভিভাবকদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী দিয়েছি এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা ও ঔষধ দিয়েছি। এছাড়াও বৃক্ষ রোপণ, পরিস্কার পরিছন্ন, শিক্ষকদের তদারকি, মা সমাবেশ, ফলাফল বৃদ্ধি, খন্ডকালীন শিক্ষক নিয়োগ,সীমান নির্ধারণসহ আরো অসংখ্য কাজ করেছি। আমি শিক্ষার মানোন্নয়ন ও মানব সেবক হিসেবে নিজেকে কাজ করে যাচ্ছি। আমি সকলের নিকট দোয়া চাই সামনে যেনো আরো মানোন্নয়নে কাজ করতে পারি।
Leave a Reply