নিজস্ব প্রতিনিধি: সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার ও সারাদেশে হতাহতের বিচারের দাবিতে মুন্সিগঞ্জে আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে অন্তত ৫ জন শিক্ষার্থী আহত হন।
বুধবার দুপুর ১২ টার দিকে মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ জানায়, মুন্সিগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় সকাল সাড়ে দশটার দিকে কোটা সংস্কার ও সারাদেশে হতাহতের বিচারের দাবিতে ব্যানার নিয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী জড়ো হন। এসময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। বেলা ১১ টার দিকে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গায়েবানা জানাজা নামাজে দাড়ায় ২০-৩০ জন নেতাকর্মী। নামাজ শুরু হতেই পুলিশ সেখান থেকে শহর বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহবুবুল আলম স্বপন ও মুন্সিগঞ্জ পৌরসভার ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান হিরণকে আটক করে।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের মত করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান। একপর্যায়ে শহরের প্রধান সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে শিক্ষার্থীরা বসে পড়েন। পাশের একটি মার্কেটের সামনে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন সাগরের নেতৃত্বে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অর্ধশত নেতাকর্মী জড়ো হন। প্রায় আধা ঘন্টা সেখানে অবস্থানের পর তারা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেয়া শুরু করলে পাল্টা স্লোগান দিতে শুরু করেন আন্দোলনকারীরা। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্রিকেট খেলায় ব্যবহৃত স্ট্যাম্প, কাঠের ডাসা নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করতে থাকে। একইসময় পুলিশও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মারধর করে৷
হামলার বিষয়ে শহর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাত হোসাইন সাগর বলেন, ‘আজকে পবিত্র আশুরার দিন। ঢাকার কোথাও কর্মসূচি ছিলো না। কিন্তু মুন্সিগঞ্জে বিএনপি-জামায়াতের ইন্ধনে কিছু ছেলেমেয়ে আন্দোলন শুরু করে। প্রায় এক ঘন্টা তারা আন্দোলন চালিয়ে গেলেও কেউ বাঁধা দেয়নি। একপর্যায়ে তারা সড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে বসে পড়ে। আমরা কিছুটা দুরে দারিয়ে স্লোগান দিতে থাকলে তারাও আমাদের উদ্দেশ্য করে পাল্টা স্লোগান দেয়। এসময় বিক্ষুব্ধ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দেয়।
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালে পুলিশ তাদের রক্ষা করে। বর্তমানে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।