আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ভারতীয় হাইকমিশন ও সহকারী হাই কমিশনগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করেছে পুলিশ।
একই সঙ্গে সবশেষ পরিস্থিতির বিষয়ে খোঁজখবর রাখতে হাই কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করার কথা জানিয়েছেন গুলশানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম সোমবার রাতে বলেন, গুলশানে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন ছাড়াও চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট ও খুলনায় ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে।
”হাই কমিশনগুলোতে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পুলিশের যে গার্ড থাকে, তা কয়েক গুণ বাড়িয়েছি। চট্টগ্রামে অন্তত আট গুণ বাড়ানো হয়েছে।”
ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলার ঘটনার পর এ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন আইজিপি।
ভারতের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও বিবিসি বাংলার খবরে বলা হয়, সোমবার দুপুরের দিকে কিছু বিক্ষোভকারী আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশন প্রাঙ্গণে ঢুকে পড়ে হামলা চালায়। তারা সেখানে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলে। পরে পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশ সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার ও কারাগারে পাঠানোর নিন্দা জানিয়ে ওই বিক্ষোভ হওয়ার কথা বলা হয় এসব খবরে।
ঘটনার পর দুঃখ প্রকাশ করে বিজ্ঞপ্তি দেয় ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। অপরদিকে হামলার ঘটনাকে ‘পূর্বপরিকল্পিত’ অভিহিত করে ভারতের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ’নিষ্ক্রিয়তার’ অভিযোগ তোলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার।
সংবাদমাধ্যমে হামলার খবর আসার পর সোমবার সন্ধ্যায় সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগ তুলে চট্টগ্রামে বিক্ষোভ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য জেলাতেও বিক্ষোভ হয়েছে।
আইজিপি বলেন, চট্টগ্রামে সোমবার ভারতের সহকারী হাই কমিশনে স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি ছিল হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের। এ কারণে সেখানে আগেই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়, যা স্মারকলিপি দেওয়ার পরও বহাল আছে। অন্যখানের মিশনগুলোতেও নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।
এদিকে গুলশানে ভারতীয় হাই কমিশন ঘিরে ‘সব ধরনের’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ কমিশনার তারেক মাহমুদ।
তিনি বলেন, “নিয়মিত নিরাপত্তার বাইরে যা যা প্রয়োজন, সবটাই নেওয়া হয়েছে। দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে।” -বিডিনিউজ টোয়েন্টেফোর ডটকম