দেশের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে: মিজানুর রহমান সিনহা
স্টাফ রিপোর্টারঃ
সাবেক স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান সিনহা বলেছেন, “১৫-১৬ বছর চলে গেছে শত সহস্র টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। দেশের শাসন ব্যবস্থা ধ্বংস হয়ে গেছে। কোথাও কোন শাসন নেই। দুঃশাসনের জ্বালায় আমরা আজকে নিপীরিত নিঃশেষিত। আজকে যেই ক্ষমতা সরকার নিয়ে আছেন তারা কোন সরকার হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারেন নাই। আমরা দল থেকে বার বার বলতেছি তুমি নির্বাচনটা দিয়ে দাও। তোমার পক্ষে সম্ভব না এই দেশে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার। আমরা আশা করি জনগণের সরকার যদি আসে অবশ্যই দেশে শান্তি আসবে। প্রতিটা মূহূর্তে ঢাকা শহরে আমরা দেখি আজকে অবরোধ কালকে এইটা সেইটা। চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ঢাকা শহর। এইভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।”
বুধবার বিকেলে জেলা শহরের কৃষি ব্যাংক সংলগ্ন সড়কে নবগঠিত জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটর সদস্য শেখ মো. আব্দুল্লাহ, শহীদুল ইসলাম মৃধা, আব্দুল বাতেন খান শামীম, সৈয়দ সিদ্দিক উল্লাহ ফরিদ ও আমির হোসেন দোলন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিজানুর রহমান সিনহা আরও বলেন, “সব কয়টা নির্বাচনে মুন্সীগঞ্জে আমরা জাতীয়তাবাদী দলের ধানের শীষের ভোটে সবসময় ক্ষমতায় আসি। আগামীতেও ইনশাআল্লাহ আমরা মুন্সীগঞ্জে তিনটা বা চারটা সিট হোক, আমরা সবগুলোতে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসবো।”
তিনি বলেন, “আমি মুন্সীগঞ্জে এসে অভিভূত হয়েছি। আমি ১৯৬৪ সালে একবার মুন্সীগঞ্জে আসছিলাম। চার আনা দিয়া নারায়ণগঞ্জ থেকে মুন্সীগঞ্জে আসছিলাম। আজকে মুন্সীগঞ্জের চেহারা কোন পরিবর্তন হয় নাই। ইনশাআল্লাহ আমরা যদি আগামীতে ক্ষততায় যাই। মহিউদ্দিন সাহেবকে নিয়ে যদি আমরা আবার ক্ষমতায় যাইতে পারি। এই মুন্সীগঞ্জে কিছু না কিছু কর্মকান্ড আমি জাতীয়তাবাদী দলের ব্যানারে ধানের শীষে বেগম খালেদা জিয়া-তারেক রহমান সাহেবের নেতৃত্ব ভারে কিছু করবো।”
তিনি আরো বলেন, “মুন্সীগঞ্জের একটা পরিবর্তন হওয়া উচিত। বাংলাদেশের যতগুলো সাব ডিভিশন আজকে ডিস্ট্রিক হইছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা হয়েছে। মুন্সীগঞ্জ জেলা হইয়া কোন পরিবর্তন হয় নাই। আমার কাছে মনে হয়েছে মুন্সীগঞ্জ অনেক অবহেলিত এবং এখানে কোন শাসন করছে কিনা আমার মনে হয় না। আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি আব্দুল হাইকে। তিনি আজকে অসুস্থ্য । তিনি আমার একজন শ্রদ্ধেয় ব্যাক্তি। অনেক কাজ করেছেন। আজকে ওনার ছোট আমার সাথে রাজনীতি করছেন। আমি আশা করবো ওনার সাথে সুস্থ্য সুন্দরভাবে রাজনীতি করতে পারবো। আমাদের দ্বারা আপনাদের কোন অপকার হবে না। আমি চেষ্টা করবো যতটুকু আমাদের সম্ভব করবো ”
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠিনটিতে উপস্থিত ছিলেন শ্রীনগর বিএনপির সাবেক সভাপতি মমিন আলী, সিরাজদীখান বিএনপি সাবেক সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস ধীরেন, মুন্সীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র একেএম ইরাদত মানু, সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মাহবুব উল-আলম স্বপন, জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আতোয়ার হোসেন বাবুল, সদস্য মো. গোলজার হোসেন, , সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান ফকির, পঞ্চসার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মতিন, পৌর বিএনপির যুগ্ম- আহবায়ক আবু সুফিয়ান বিপ্লব, বিএনপি নেতা মো. মজিবুর রহমান, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক দেওয়ান মো. মুজিবর রহমান, সদস্য সচিব মু. মাসুদ রানা, যুগ্ম-আহবায়ক অ্যাডভোকেট মো. আরিফ আহমেদ, জেলা ছাত্রদল সভাপতি আবুল হাসেম, ছাত্রলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সম্পাদক হুমায়ন আহমেদ ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. রোমান হোসেন প্রমুখ।
এর আগে বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জেলার ১৮টি পয়েন্টে পথসভা করেন নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি । পথে পথে ছিল মানুষের ঢল।
গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা, পৌর, সদর উপজেলা বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদল ও শ্রমিকদলের নেতাকর্মীরা বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে, ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে মিছিলে মিছিলে জেলা শহর মুখরিত করে তোলে। তারা শহীদ জিয়া জিন্দাবাদ, খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ, সিনহা ভাই জিন্দাবাদ, মহিউদ্দিন ভাই জিন্দাবাদ স্লোগানে মুখরিত করে তোলে। দীর্ঘ দীর্ঘদিন পরে বিএনপির ঘাটি হিসেবে পরিচিত মুন্সীগঞ্জ বিএনপিতে আলোর ঝিরিক ছড়িয়ে পরে। ভেদাভেদ ভুলে সবাই ছিলেন একই মধ্যে। #