সভ্যতার আলো ডেস্ক:
পুণ্যভূমি খ্যাত সিলেট-১ আসন যার, সরকার তার। স্বাধীনতা পরবর্তী সময় থেকে সেই রীতি অব্যাহত রয়েছে অদ্যাবধিও। হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) এর স্মৃতিবিজড়িত সিলেট-১ আসনে যে দলের প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন, সে দলই সরকার গঠন করেছে। সর্বশেষ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ ধারা অব্যাহত ছিল।
তাই সিলেট থেকে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করে সবকটি রাজনৈতিক দল। এরই ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট থেকে প্রচারণা শুরু করবে আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সিলেটে আসছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সিলেটে পৌঁছে তিনি দুই ওলি হযরত শাহজালাল (র.) ও শাহপরান (র.) এর মাজার জিয়ারত করবেন। এরপর নগরের আলীয়া মাদরাসা ময়দানে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের তত্ত্বাবধানে সমাবেশস্থল ও সভামঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভামঞ্চে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চেয়ারসহ ৩২৭টি চেয়ার রয়েছে। সর্বোপরি সভামঞ্চে থাকতে পারেন ৪০০ নেতা।
এর মধ্যে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি, সম্পাদক ছাড়াও জেলা-উপজেলা ও পৌরসভার জনপ্রতিনিধি এবং বর্তমান সংসদ সদস্য প্রার্থীরা অবস্থান করবেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও থাকছেন বলে দলীয় একাধিক সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
জনসভা মঞ্চের সামনে বিভিন্ন সারিতে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩০০ চেয়ার বসানো হয়েছে। আরও চেয়ার বসানো হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে মাঠের প্রবেশদ্বারগুলোতে বসানো হয়েছে মেটাল ডোর। এরই মধ্যে সমাবেশস্থল ও সভামঞ্চ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে রয়েছে। সেখানে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ রাখা হয়েছে। প্রটোকল নিয়ে নির্ঘুম রাত কাটছে প্রশাসনেরও।
আওয়ামী লীগ নেতারা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশস্থল জনসমুদ্রে পরিণত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফর সফলে একাধিক প্রস্তুতি ও মতবিনিময় সভা, প্রচার মিছিল হয়েছে। নগর থেকে জেলা-উপজেলায় পোস্টার সাটানো ও মাইকিং চলছে।