বেইলি রোডের গ্রিন কোজি ট্র্যাজেডি
নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল : রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার বিনোদপুরের বাসিন্দা জারিন তাসনীম খান প্রিয়ন্তীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। মুন্সীগঞ্জের সরকারি হরগঙ্গা কলেজের ইংরেজি সম্মান শ্রেণির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী প্রিয়ন্তী এখন শুধুই স্মৃতি।
প্রিয়ন্তীর বড় বোন বড় তাসনোভা খান সুহা সন্তান সায়মাসহ কানাডা থেকে বুধবার ঢাকায় আসনে। বোনের সাথে দেখা করতে
প্রিয়ন্তী বাবা অ্যাডভোকেট আওলাদ হোসেন খান, মা গৃহিনী মেহেরুন্নেসা ও বড় ভাই সাজেদ হোসন পিয়াল ঢাকার ইস্কাটনে যান।
সুহা তার মেয়ে সায়মা ও বোন প্রিয়ন্তীসহ মামী শাশুড়ীর সাথে
বৃহস্পতিবার রাতে ডিনার করতে বেইলি রোডে যান ‘কাচ্চি ভাই’ নামের রেস্তোরাঁয়। আগুন লাগার পর
বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ
ভবনের দ্বিতীয় তলায় এই রেস্তোরাঁ ধোয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পরে কিছু দেখা যাচ্ছিল না। তার সাথের তিনজন বেরুতে পারলেও প্রিয়ন্তীর হাত ছুটে যায়। পরে আর বেরুতে পারেননি, আগুনে পুরে মর্মান্তিকভাবে মারা যান।
এই মৃত্যুর খবর মুন্সীগঞ্জে ছড়িয়েছে পরলে সহপাঠী, শিক্ষক ও স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। স্বজনরা তাদের বিনোদপুরের বাড়িতে ভিড় করে। তবে প্রিয়ন্তীর মরদেহ এখনো ঢাকায়। সেখানে গোসল করানোর পর কফিন আসতে আসতে আরোও বিলম্ব, তাই অপেক্ষায় এলকার মানুষ । তবে বাবা, মা ও বড় বোন রয়েছেন প্রিয়ন্তীর মরদেহের সাথে।
তবে সদ্য এলএলবি পাস করা প্রিয়ন্তীর ভাই পিয়াল বাড়ি ফিরে এসে বোনের দাফনের ব্যাপারে কাজ
এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে বাদ আসর নির্ধারণ করেছেন।
প্রিয়ন্তীর ভাই সাজেদ হোসন পিয়াল জানান, ঘটনার পর আগুন দেখে ঘাবরে যায় প্রিয়ন্তী। ঘটনার পরপরই সাড়ে ৪ বছরের সায়বাকে নিয়ে দ্রুত বেরিয়ে যায় সুহার মামী শাশুড়ী। তবে সুহা বোন প্রিয়ন্তীকে হাতে ধরে বেরিয়ে আসার চেষ্ট করেন। কিন্তু ভবনের উপন থেকে হুড়োহুড়ি করে লোনজন নামছিল, আর ধোয়ায় মধ্য এক পর্যায়ে প্রিয়ন্তীর হাতটি ছুটে যায়।
প্রিয়ন্তী এইচএসসি পাস করেন শহরের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহমেদ রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে। তার সাবেক এই শিক্ষালয়টি ঘিরেও শোকের ছায়া । এই করুন মৃত্যু কেউই সহ্য করতে পারছেন না। প্রিয়ন্তীর সোনালী স্বপ্ন আগুনে পুরে ছাই হয়ে গেছে। আর কান্নার সাগরে ভাসিয়ে দিয়েছে প্রিয়জনদের।