মঙ্গলবার , ২ জুলাই ২০২৪ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

পদ্মা সেতু পরিচালনায় নতুন কোম্পানি

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
জুলাই ২, ২০২৪ ২:৫১ অপরাহ্ণ

বাজেট খুবই স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

স্টাফ রিপোর্টার: পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণে আলাদা একটি কোম্পানি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেতুর টোল আদায়সহ সার্বিক পরিচালনার কাজ করবে শতভাগ সরকারি মালিকানাধীন এই কোম্পানি।

গতকাল সোমবার সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘পদ্মা ব্রিজ অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স কোম্পানি পিএলসি’ শিরোনামে এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কোম্পানির অনুমোদিত মূলধন হবে এক হাজার কোটি টাকা। এর মূল দায়িত্ব থাকবে পদ্মা সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ। কোম্পানিতে ১৪ জনের বোর্ড অব ডিরেক্টর থাকবে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, রেল মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয়, সেতু বিভাগ ও সেতু কর্তৃপক্ষ থেকে প্রতিনিধি থাকবেন। কোম্পানি আইন অনুযায়ী তারা চলবে এবং জনবল কাঠামো তারাই অনুমোদন দেবে। কোম্পানির মূল উদ্দেশ্য হলো, এ সেতুর পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ ধীরে ধীরে আমাদের আওতায় নিয়ে আসা। ২০২২ সালের ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বহুল প্রতীক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করেন। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এ সেতুতে ব্যয় হয় ৩১ হাজার ১০৫ কোটি টাকা। এর মাধ্যমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলা সড়কপথে যুক্ত হয় রাজধানী ঢাকার সঙ্গে। এতে গত ২৫ জুন পর্যন্ত দুই বছরে টোল আদায় হয়েছে এক হাজার ৬৪৮ কোটি টাকা। এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল থেকে যে আয় হচ্ছে, তা জমা হচ্ছে সেতু কর্তৃপক্ষের ব্যাংক হিসাবে। পাঁচ বছরের বেসরকা‌রি প্রতিষ্ঠান কো‌রিয়ান এক্স‌প্রেসও‌য়ে ৬৯৩ কোটি টাকায় সেতুর টোল আদায় এবং রক্ষণা‌বেক্ষ‌ণের দা‌য়িত্ব পালন কর‌ছে। তাদের সঙ্গে চুক্তি শেষ হওয়ার পর পদ্মা সেতু পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ চলে যাবে কোম্পানির অধীনে।

মাহবুব হোসেন আরও বলেন, মাদারীপুরের শিবচরে ‘ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট)-২০২৪’ স্থাপনে একটি আইনের নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (আইসিটি) থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে এ ইনস্টিটিউট করার প্রস্তাব করা হলেও তাতে সম্মতি দেননি তিনি। মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (শিফট) আইন, ২০২৪’-এর খসড়া উপস্থাপন করা হলে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নামের অংশটুকু বাদ দিতে নির্দেশ দেন। এই ইনস্টিটিউটটি মূলত আইসিট-সংক্রান্ত প্রযুক্তি, গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন, গবেষণায় প্রশিক্ষণ প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম চালু করবে।

তিনি বলেন, এটির একটি গভর্নিং বোর্ড থাকবে এবং একজন প্রধান পৃষ্ঠপোষক থাকবেন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হবেন প্রধানমন্ত্রী। আর বোর্ড অব গর্ভনরের সভাপতি হবেন তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের মন্ত্রী। আইনটি মন্ত্রিসভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়েছে।

সদ্য পাস হওয়া বাজেট খুবই স্বচ্ছতা, নজরদারি ও যত্নের সঙ্গে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী ও সচিবদের সবাইকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী সবাইকে খুবই যত্নের সঙ্গে, নজরদারির সঙ্গে, নিপুণভাবে ও স্বচ্ছতার সঙ্গে যেন বাজেট বাস্তবায়ন করা হয় সে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন।

রপ্তানি নীতি অনুমোদন

মন্ত্রিসভার বৈঠকে গতকাল রপ্তানি নীতি ২০২৪-২৭ অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রতি তিন বছর অন্তর প্রণয়ন করা হয় রপ্তানি নীতি। আগের মেয়াদ গত ৩০ জুন শেষ হওয়ায় নতুন নীতিতে কিছু বিশেষ বিষয় যোগ করা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আমাদের রপ্তানির ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর আমরা বিশেষ কিছু সুযোগ-সুবিধা হারাব। সেক্ষেত্রে আমাদের রপ্তানি যাতে প্রতিযোগিতামূলক থাকে, রপ্তানিকারকরা যাতে উৎসাহিত বোধ করেন, সেদিকে নজর দিয়েই নতুন নীতি তৈরি করা হয়েছে। গত বছর রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮০ বিলিয়ন ডলার। এ অর্থবছরের এখনও হিসাব করা হয়নি।

ইলেকট্রনিক ডিভাইস রপ্তানির জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। মাহবুব হোসেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা শুধু সফটওয়্যার না, আমাদের যে ইলেকট্রনিক ডিভাইস, সেটি রপ্তানিতেও যেন আমরা বেশি উৎসাহ প্রদান করি। সেখানে যাতে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।

 

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ