দক্ষিণের দুয়ারে সাজ সাজ রব। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকেলে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে অহংকারের পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান। এ উপলক্ষে মাওয়া প্রান্তে আয়োজন করা হয়েছে সুধী সমাবেশের। এতে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেষ হাসিনা। এছাড়াও অংশ নেবেন সেতু সংশ্লিষ্ট ও দেশি-বিদেশি অতিথিরা।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মা সেতু এখন আলোর দ্যুতি ছড়াচ্ছে। এরইমধ্যে যানবাহন পারাপার ১ কোটি ২৭ হাজার ছাড়িয়েছে। সড়ক পথের পাশাপাশি রেল পথেও রাতদিন চলছে ট্রেন। পদ্মা সেতু রেল লিঙ্কের ভাঙ্গা-যশোর অংশের কাজও শেষ হচ্ছে চলতি মাসেই। এই অংশ চালু হলে রেলপথে যশোর থেকে রাজধানীর দূরত্ব কমবে প্রায় ১৯৫ কিলোমিটার।
ট্রান্স এশিয়া নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সব ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ভেঙে দক্ষিণের দুয়ার খুলে দেয়া এই সেতু যোগাযোগ ব্যবস্থাই শুধু নয়, এই অঞ্চলের আর্থসামাজিক অবস্থায় বড় পরিবর্তন এনে দিয়েছে। সেতুতে স্থাপিত গ্যাস লাইনও সম্ভাবনার নতুন হাতছানি দিচ্ছ।
পদ্মা বহুমুখী সেতুর সব ধাপের কাজ পুরোপুরি শেষ। প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক সমাপনী উদযাপনে মাওয়া প্রান্তে আয়োজন করা হয়েছে সুধী সমাবেশের। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে চলছে জোর প্রস্তুতি। দেশ-বিদেশেও আলোচিত এই প্রকল্পের পরিসমাপ্তিকে স্মরণীয় করে রাখতে চান আয়োজকরা।
সমাবেশ ও প্রধানমন্ত্রীর আগমন ঘিরে পুরো এলাকা নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে রাখা হয়েছে। সুধী সমাবেশে অংশ নেবেন কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ ও আমলাসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।
নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ শেষে ২০২২ সালের ২৫ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হয় পদ্মা সেতু।