স্টাফ রিপোর্টারঃ
আন্দোলনের মুখে স্থগিত হওয়া এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে, ফল তৈরি ও তা কীভাবে প্রকাশ করা হবে তার পন্থা নিয়ে বৈঠক হবে আজ (বুধবার)।
জানা যায়, সব শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের বৈঠক ডাকা হয়েছে বেলা ১১টায়। এ থেকে সুপারিশ তৈরি করে পাঠানো হবে; সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকারের স্বাক্ষর করা প্রজ্ঞাপনে পরীক্ষা বাতিলের তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা ২০২৪-এর স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করা হলো। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
তপন কুমার সরকার বলেন, ‘স্থগিত হওয়া পরীক্ষাগুলো না নেয়ার জন্য এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। তাই স্থগিত বিষয়গুলোর পরীক্ষা বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। ফলাফল কীভাবে নির্ধারণ হবে, তা পরে সিদ্ধান্ত হবে।’
এর আগে, দুপুরে সচিবালয়ের ভেতরে ঢুকে পড়েন হাজার হাজার এইচএসসি পরীক্ষার্থী। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরীক্ষা না দেয়ার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, এরই মধ্যে যে কটি বিষয়ের পরীক্ষা হয়েছে, তার ভিত্তিতেই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে হবে। কারণ হিসেবে আন্দোলনে অনেক পরীক্ষার্থী আহত হওয়া এবং পড়াশোনায়ও ক্ষতি হওয়ার কথা উল্লেখ করেন তারা।
পরে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শেখ আব্দুর রশিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। এ সময় সচিবের কক্ষের বাইরে স্থগিত পরীক্ষাগুলো বাতিল করার দাবিতে বিক্ষোভ করেন আন্দোলনরত অনেক পরীক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। এরপর পহেলা জুলাই থেকে চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে আন্দোলন শুরু হলে এর মধ্যেই ঢাকা বোর্ডের সাতটি পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বোর্ডের বেশ কয়েকটি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়।
কিন্তু কোটা সংস্কার আন্দোলন ক্রমেই তীব্র হয়ে উঠায় উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা কয়েক দফা স্থগিত করা হয়। এতে কয়েক ধাপে পরীক্ষা পেছানো হয়।
সবশেষ শিক্ষা উপদেষ্টা ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার সকালে সচিবালয়ে এক জরুরি সভায় ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা আরও দুই সপ্তাহ পেছানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া, ১০০ নম্বরের প্রশ্ন থেকে ৫০ নম্বরের উত্তর দেয়ার মাধ্যমে অর্থাৎ অর্ধেক প্রশ্নোত্তরে বাকি বিষয়গুলোর পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।