স্টাফ রিপোর্টার: মুন্সীগঞ্জে চাঁদা না দেয়ায় ইতালি প্রবাসির মার্কেটে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে । দাবিকৃত চাঁদার টাকা না দেয়ায় বোনজামাতা জাহাঙ্গীর আলম সন্ত্রাসী ভাড়া করে ইতালি প্রবাসী শ্যালক রুবেল উদ্দিনের মার্কেটের ১৫ টি দোকান তালাবদ্ধ করে দেয়। ফলে গত ৪ দিন যাবত মার্কেটটি তালাবদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনায় দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মধ্যে পাড়া ইউনিয়নের কাকালদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এবিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিতে চাইলে অভিযোগ নেয়নি সিরাজদিখান পুলিশ।
জানা গেছে, পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বোন জামাতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের সাথে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলছে ইতালি প্রবাসী শ্যালক মোঃ রুবেল উদ্দিনের। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে এর আগেও কয়েক দফা বিবাদে লিপ্ত হয় উভয় পক্ষ। তবে বিষয়টি সমাধানে অভিযুক্ত মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে একাধিকবার অবহিত করলেও তিনি কোনরুপ কর্ণপাত না করে গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বিকালে সন্ত্রাসী ভাড়া করে রুবেল উদ্দিনের কাছে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করে। দাবিকৃত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে মার্কেটে তালা ঝুলিয়ে দেয় সন্ত্রাসীরা। সেই থেকে ৪ দিন যাবত মার্কেটটি তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে করে তালাবদ্ধ হয়ে পরেছে ১৫ টি দোকান। ফলে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে উভয় পক্ষের মধ্যে। অভিযোগ রয়েছে অভিযুক্ত বোনজামাতা জাল দলিল করে শশুর বাড়ির শ্যালক ও শ্যালিকাদের জমি দখলে নেওয়ার পায়তারার অংশ হিসাবে রুবেল উদ্দিনের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করেন সেই টাকা না পেয়ে মার্কেটে তালা দেয়ার ঘটনা ঘটায়।
মার্কেটের মালিক রুবেল উদ্দিনের স্বজনরা জানান,বোন জামাত জাহাঙ্গীর আলম জাল দলিল করে আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি দখল করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় এখন মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন৷ দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় আমাদের মার্কেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্ত মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নির্মিত মার্কেটের জমি নিজের দাবি করে বলেন, তালা কি আমি মারছি না আমার লোক মারছে। রুবেলের লোকেরা তালা মাইরা মানুষকে একটা বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে মার্কেটে । যাদের তালা তারাই মারছে। তালা মাইরা আমার জায়গায় অবৈধভাবে তারা ঘর করছে ১৪ থেকে ১৫ টা। আমি ঘরের চেহারা কেমন এটা অনলাইনে দেখছি এটা আমি জানিনা। ওরা তালা মারছে ওরা তালা মাইরা মানুষকে একটা বিভ্রান্ত করছে। উল্লেখ্য অভিযুক্ত বোনজামাতা মোঃ জাহাঙ্গীর আলম কাকালদী গ্রামের মোঃ খবির উদ্দিনের তৃতীয় স্ত্রীর মেয়ের হামিদা খাতুনের স্বামী এবং রুবেল উদ্দিন খবির উদ্দিনের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান৷
এব্যাপারে জানতে মুঠোফোনে সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি খন্দকার হাফিজুর রহমানকে ফোন দিলে বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলবেন বলে ব্যস্ততা দেখিয়ে ফোন কেটে দেন ।