স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছে জিম্বাবুয়ে।
ম্যাচের প্রথম দুই বলে রান নেই কোনো। তখনও কে জানত, বাকি সময়ে কী ঝড়টাই না বয়ে যাবে গাম্বিয়ার বোলারদের ওপর দিয়ে! টাডিওয়ানাশে মারুমানি ও ব্রায়ান বেনেট যেটির শুরু করে দিলেন, সেটিকে পূর্ণতা দিলেন পরের ব্যাটসম্যানরা। রান উৎসবে একগাদা রেকর্ড গড়ল জিম্বাবুয়ে।
আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আফ্রিকার উপ-আঞ্চলিক বাছাইপর্বে জিম্বাবুয়ের রানের জোয়ার চলছেই। নাইরোবিতে বুধবার গাম্বিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩৪৪ রান করেছে তারা। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এটিই।
রেকর্ড গড়ার পথে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক সিকান্দার রাজা। ৩৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়ে ৪৩ বলে ১৫ ছক্কা ও ৭ চারে অপরাজিত ১৩৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ঝড়ো ফিফটি করেন তিন জন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের হাংজুতে এশিয়ান গেমসে মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে ২০ ওভারে ৩১৪ রান করেছিল নেপাল। স্বীকৃত কিংবা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এতদিন সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ছিল সেটিই। তাদের ছাড়িয়ে এবার নতুন চূড়ায় উঠল জিম্বাবুয়ে।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসে এদিন ছক্কা হয়েছে মোট ২৭টি। এটিও স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে রেকর্ড। মঙ্গোলিয়ার বিপক্ষে নেপালের ২৬ ছক্কা ছিল আগের সর্বোচ্চ।
ছক্কা ও চার মিলিয়ে জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৫৭ বাউন্ডারিও রেকর্ড। কিছুদিন আগে হায়দরাবাদে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের ৪৭ বাউন্ডারি ছিল আগের রেকর্ড।
রাজার ১৫ ছক্কা আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে যৌথভাবে তৃতীয় সর্বোচ্চ। আর তার ৩৩ বলে সেঞ্চুরি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম।
গত ফেব্রুয়ারিতে নেপালের বিপক্ষে ৩৩ বলে তিন অঙ্ক ছুঁয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন নামিবিয়ার ইয়ান নিকোল লফটি-ইটন। পরে জুনে তাকে ছাড়িয়ে সাইপ্রাসের বিপক্ষে ২৭ বলে সেঞ্চুরি করে নতুন রেকর্ড গড়েন এস্তোনিয়ার সাহিল চৌহান। ওই ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৮ ছক্কার কীর্তিও গড়েন তিনি।
চলতি বাছাইয়ে প্রথম ম্যাচে সিশেলসের বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে জিম্বাবুয়ে করে ৫ উইকেটে ২৮৬ রান। তখন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে যা ছিল তাদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। পরের ম্যাচে মোজাম্বিককে ৫৬ রানে গুটিয়ে তারা ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পাঁচ ওভারেই।