সংশোধনীর ফলে এখন থেকে কোন সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যা জীবিত না থাকলে; কিংবা ছেলের বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে— চাকরিজীবীর মৃত ছেলে বা মেয়ের পুত্র, কন্যা বা হিজড়া তথা তৃতীয় লিঙ্গের নাতি-নাতনিরা পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের মৃত্যুর পর তাঁর পেনশন ও গ্রাচুইটি সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরাধিকার মনোনয়ন নিয়ে সৃষ্ট আইনী জটিলতা দূর করতে ‘পেনশন রুলস এন্ড রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটস’ সংশোধন করেছে সরকার।
সংশোধনীর ফলে এখন থেকে কোন সরকারি চাকরিজীবীর স্বামী বা স্ত্রী এবং পুত্র-কন্যা জীবিত না থাকলে; কিংবা ছেলের বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে— চাকরিজীবীর মৃত ছেলে বা মেয়ের পুত্র, কন্যা বা হিজড়া তথা তৃতীয় লিঙ্গের নাতি-নাতনিরা পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।
একইভাবে চাকরিজীবী যদি তাঁর পেনশনের নমিনি বা উত্তরাধিকারী হিসেবে কারও নাম উল্লেখ করে না যান, তাহলে তাঁর পরিবারের সকল সদস্য সমানহারে প্রাপ্য আনুতোষিক সুবিধা পাবেন। এক্ষেত্রে, নাতি-নাতনির বয়স ১৮ বছর হলে তাঁরা এ সুবিধা পাবেন না। এছাড়া, পেনশনারের মৃত ছেলের বিবাহিত বোন কিংবা স্বামী জীবিত আছে, এমন কোন বোন আনুতোষিক সুবিধা পাবেন না।
এক্ষেত্রে মৃত ছেলে বা মেয়ে জীবিত থাকলে যে অনুপাতে পেতেন– তাদের সন্তানেরাও একই অনুপাতে পেনশন বা আনুতোষিক সুবিধা ভোগ করবেন।
বিদ্যমান নিয়ম অনুযায়ী, পারিবারিক পেনশন কমপক্ষে ১৫ বছর পাওয়া যায়। দ্য ফ্যামিলি পেনশন রুলস ১৯৫৯-এ মনোনয়ন প্রদান বাধ্যতামুলক করা হলেও এটি কার্যকর না থাকায়– চাকরিজীবীর মৃত্যুতে তাঁর ছেলে সন্তানের বয়স ২৫ বছরের বেশি হলে এ সুবিধা দেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অন্যদিকে, মেয়ে সন্তান বিবাহিত হলে তারাও এ সুবিধা পান না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক অতিরিক্ত সচিব সানজিদা সোবহান মারা যাওয়ার পর এই শর্ত অনুযায়ী, তাঁর ছেলে বা মেয়ে কেউই পেনশন সুবিধা পাওয়ার যোগ্য ছিলেন না। তাহলে তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রাপ্য পারিবারিক পেনশন সুবিধা কে পাবেন? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গত কয়েক মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে মিটিং করে আসছিলেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সানজিদা সোবহানের নাতি-নাতনিরা যাতে অবশিষ্ট মেয়াদকালে পারিবারিক পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা পান, সেজন্য পরিবারের সংজ্ঞা পরিবর্তন করে মৃত ছেলে বা মৃত মেয়ের সন্তানদের পরিবারের মধ্যে অনুর্ভূক্ত করে ‘পেনশন রুলস এন্ড রিটায়ারমেন্ট বেনিফিটস’ সংশোধন করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।