কাজাখস্তানে ভেঙে পড়া বিমান থেকে ৩ শিশুসহ ৩২ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদেরকে বিমানবন্দরের নিকটবর্তী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে।
কাজাখস্তানের আকতু শহর থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আছড়ে পড়েছে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের ইআরজে-১৯০ বিমান। খবর দ্যা গার্ডিয়ানের।
ওই বিমানে মোট ৬৭ জন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচ জন বিমানকর্মী। অন্তত ৩৫ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে কাজাখস্তান প্রশাসন। তবে এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।
বিমানটির গন্তব্য ছিল রাশিয়া। স্থানীয় সময় ভোর ৩টা ৫৫ মিনিটে আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া প্রদেশের গ্রজনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল ওই বিমান। কিন্তু মাঝ আকাশে পাইলট খবর পান, গ্রজনিতে ঘন কুয়াশা রয়েছে। তাই সেখানে বিমান অবতরণে সমস্যা হতে পারে।
এর পর কাজাখস্তানের আকতুতে ওই বিমানের জরুরি অবতরণ করানোর চেষ্টা করা হয়। সংশ্লিষ্ট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের অনুমতিও চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার আগেই পাইলট বিমানের নিয়ন্ত্রণ হারান।
কাজাখস্তান সরকার জানিয়েছে, কাসপিয়ান সাগরের পূর্ব উপকূলে বিমান ভেঙে পড়ার পর যে আগুন লেগেছিল, দমকলকর্মীরা তা নিয়ন্ত্রণে আনেন। তার পর বিমানের মধ্যে থেকে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। তিনটি শিশুও উদ্ধারের তালিকায় রয়েছে। তবে যে ৩২ জনকে বিমান দুর্ঘটনার পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, তাদের সবার অবস্থাই ‘অত্যন্ত সঙ্কটজনক’।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে রাশিয়ায় নিজের কর্মসূচি বাতিল করে দিয়েছেন আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ। রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বুধবারই রাশিয়া থেকে দেশে ফিরছেন তিনি। দুর্ঘটনায় নিহতদের আত্মার শান্তি কামনা করেছেন প্রেসিডেন্ট।পরিবারের প্রতিও জানিয়েছেন সমবেদনা।
কাজাখস্তানে ৬৭ জন আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত
মধ্য এশিয়ার দেশ কাজাখস্তানে ৬৭ জন আরোহী নিয়ে একটি যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির জরুরি পরিষেবা বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
বিমানটি আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের। আজারবাইজানের রাজধানী বাকু থেকে চেচনিয়ার রাজধানী গ্রোজনি যাচ্ছিলো বিমানটি।
পথে কাজাখস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমের আকতাও শহরে জরুরি অবতরণ করছিল।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, কুয়াশার কারণে বিমানটির যাত্রা বিঘ্নিত হয়। যদিও এখনও এই দুর্ঘটনার কারণ জানা যায়নি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের ভ্যারিফাই করা একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি দ্রুতগতিতে মাটির দিকে নেমে আসছে। এর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিমানে আগুন ধরে যায়।
কাজাখস্তানের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, এমব্রায়ার ১৯০ বিমানটিতে ৬২ জন যাত্রী ও পাঁচ জন ক্রু ছিল। আরোহীদের বেশিরভাগই আজারবাইজানের নাগরিক। রাশিয়া, কাজাখস্তান ও কিরগিজস্তানের যাত্রীও ছিল কয়েকজন।
প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে এই দুর্ঘটনা ঘটলেও আকতাও বিমানবন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক আছে বলেও কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।