মঙ্গলবার , ৭ জানুয়ারি ২০২৫ | ১৯শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স, ঔষধ প্রতিরোধী ব্যাকটেরিয়া প্রতিকার ও প্রতিরোধে করণীয়

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
জানুয়ারি ৭, ২০২৫ ১১:১৩ অপরাহ্ণ

ডা. শৈবাল

সেদিন প্রাণপ্রিয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গণে গিয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী অগ্রজ চিকিৎসকের সাথে। সেখানে নিচের স্থিরচিত্রটি পেলাম। ‘এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স’ প্রতিরোধ ও প্রতিকার বিষয়ক সভা। কিন্তু এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে যাদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি তাদের কি কেউ এই সভায় আছে?
এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স কী? যে এন্টিবায়োটিক দিয়ে অতীতে যে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হতো বর্তমানে তা আর হয় না। এটাই এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বা ব্যাকটেরিয়ার ঔষধ প্রতিরোধ। দীর্ঘকাল এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহার হলে অনেক ব্যাকটেরিয়া এন্টিবায়োটিকের প্রতি প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে ফেলে।
এদেশে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সে সবচেয়ে বেশি দায়ী কারা? ঔষধ বিক্রেতারাই নয় কি? ন্যূনতম এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ পত্র ব্যতীত ঔষধ বিক্রেতাই তো রোগীকে এন্টিবায়োটিক দিয়ে দিচ্ছে। সে কি বোঝে, কোন ব্যাকটেরিয়ার জন্য কোন এন্টিবায়োটিক কবে, কখন, কীভাবে দিতে হয়? এদেশে প্রায় ৮০% জ্বরের কারণ ভাইরাস। আর ভাইরাস এন্টিবায়োটিকে ধ্বংস হয় না। অথচ জ্বরের রোগী পেলেই প্রায় শতভাগ রোগীকেই ঔষধ বিক্রেতা এন্টিবায়োটিক খেতে দেয়। তাতে করে ভাইরাস তো মরেই না উল্টো দেহের ভিতর থাকা উপকারী ব্যাকটেরিয়াগুলো ধ্বংস হয়ে দেহেরই ক্ষতি হয়।
পৃথিবীর আর কোন দেশে চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ঔষধ বিক্রেতা এন্টিবায়োটিক দেয় কি? এমনকি প্রতিবেশী দেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অন্য কোন দেশে? অবশ্য এদেশে তো সবাই চিকিৎসক।ঔষধ বিক্রেতা থেকে শুরু করে মুদি দোকানদার একেবারে পান-সিগারেট বিক্রেতা পর্যন্ত। শুধু কিছু মানুষ চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করে আসেন এই যা পার্থক্য।
রোগীদেরও সচেতন হওয়া উচিত। তারা ঔষধ বিক্রেতার কাছে চিকিৎসা নিতে যায় বলেই তো ঔষধ বিক্রেতা তাদেরকে উল্টাপাল্টা ঔষধ দিতে পারে। তারা যদি অন্তত পাঁচ টাকা দিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়েও চিকিৎসা নিতো তাহলেও এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স অনেক কমে যেতো। আবার রোগীরাও ঔষধের সময়সীমা পুরোপুরি সমাপ্ত করে না। সাতদিন এন্টিবায়োটিক খাওয়ারটা খায় দুইদিন, তিনদিন। একটু সুস্থ হতে শুরু করলেই ঔষধ খাওয়া বন্ধ করে দেয়।একে তো ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকে আনা ভুল এন্টিবায়োটিক তার উপর পুরো সময় এন্টিবায়োটিক না খাওয়া। তাতে এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স বাড়ে।
এন্টিবায়োটিকের অপব্যবহারের কারণে সাধারণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়াগুলোও এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধি হয়ে উঠছে। এন্টিবায়োটিকে ধ্বংস হচ্ছে না। রাষ্ট্রযন্ত্রের উচিত ঔষধ বিক্রেতা যেন চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া এন্টিবায়োটিক বিক্রি করতে না পারে সে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া। নইলে কোন একদিন রাষ্ট্রযন্ত্রেরই কোন এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এন্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের কারণে সামান্য ডায়রিয়ায় মৃত্যুবরণ করার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। তখন কিন্তু একটা হুলস্থুল বেধে যাবে। কারণ আমাদের স্বভাবই এমন যে নিজে আক্রান্ত না হওয়া পর্যন্ত আমরা অপরের আক্রান্তের কষ্ট বা বিপদ বুঝি না।

২১শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, সোমবার, ৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, ১৯৪৬ শকাব্দ, ১৪৪৬ হিজরী, ৫৩৮ চৈতন্যাব্দ, ২০৮১ বিক্রম সম্বৎ, ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ, ৫১২৫ কলি।

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ

আপনার জন্য নির্বাচিত

ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় এসএসসি পরীক্ষার্থীকে কুপিয়ে হত্যা

মুন্সীগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির নতুন জিএম হাদিউজ্জামান

মুন্সীগঞ্জের মেঘনার নদীর পানি বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিয়ার ওপরে

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে রং মিস্ত্রী সজল হত্যার ঘটনায় মুন্সীগঞ্জে সাবেক সাংসদসহ ৪৫১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

সাংবাদিক ও পুলিশের উপর হামলার ২ মামলায় ইউপি চেয়ারম্যান মিঠু গ্রেফতার

মুন্সীগঞ্জে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত ২

এবার দাম বাড়াছে ভোজ্যতেল

দূষণের কারণে ইলিশ গতিপথ পাল্টাচ্ছে

শ্রীনগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহে গলদা-কার্প মিশ্রচাষে সফালতা অর্জন করায় পুরস্কার পেলেন সাংবাদিক আরিফ হোসেন

বাফুফের টেকনিক্যাল কমিটিতে মুন্সীগঞ্জের ডন