ফোকলা ইডিসিএল ধংসের ভাগাড়
বিশেষ প্রতিবেদন :
দেশে স্মরণকালের গণ অভুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাত্র ২৫ দিনেই এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) এ আখেরি নিয়োগ বদলী বাণিজ্য এবং মালামাল ক্রয় বিক্রয় করে সংঘবদ্ধচক্র প্রায় ১৫ কোটি টাকা হাতিয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অধ্যাপক এহসানুল কবির জগলুর লাগামহীন দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রতিষ্ঠানটিতে ৩ হাজারের বেশি জনবল অতিরিক্ত। এ সত্বেও গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর ফের নিয়োগ দেয়া হয়েছে আরো দুই শতাধিক জনবল। উৎপাদন ক্ষমতা অনুযায়ী জনবল দরকার সর্বোচ্চ আড়াই হাজার। আছে ৫ হাজার ৬০০ জন। তিন হাজারের বেশি অতিরিক্ত জনবল নিয়োগ করা হয়েছে ঘুষ এবং রাজনৈতিক বিবেচনায়। শুধু নিয়োগ নয়, দুর্নীতি হয়েছে মালামাল ক্রয় বিক্রয়েও।
সুত্র জানায়, এমডির সর্বশেষ অপকর্মের মাস্টার মাইন্ড বিএনপিপন্থী ইডিসিএল শ্রমিক কর্মচারী কল্যাণ সংসদ (রেজিনং বি ১৯২৯) এর সভাপতি আবুল খায়ের এবং সেক্রেটারি আলমগীর হোসেন। বিএনপিপন্থী এই সিন্ডিকেট প্রায় ২০০ জনবল নিয়োগ এবং ৩৫০ জনকে বিভিন্ন দপ্তর এবং কারখানায় বদলী করে কালো টাকার পাহাড় বানিয়েছে। নিয়োগে জনপ্রতি ৩ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ পর্যন্ত নেয়া হয়েছে। বিএনপি নেতা সাইফুল আলম নীরব এবং ইডিসিএল এমডি কে ঘুষ দেয়ার কথা বলে টাকা নেন আবুল খায়ের এবং আলমগীর।
কল্যাণ সংসদ (রেজিনং-বি ১৯২৯) এর মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১৭ অক্টোবর ২০২৪।
সভাপতি আবুল খায়ের এবং সেক্রেটারি আলমগীর হোসেনসহ এই চক্রের সদস্যরা ফের নতুন কমিটিতে প্রবেশের মিশনে নেমেছেন।