মঙ্গলবার , ১১ মার্চ ২০২৫ | ১৯শে চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. এক্সক্লুসিভ নিউজ
  8. কলাম
  9. কৃষি
  10. খুলনা বিভাগ
  11. খেলাধুলা
  12. গণমাধ্যম
  13. চট্টগ্রাম বিভাগ
  14. জাতীয়
  15. ঢাকা বিভাগ

ডোমার বিএডিসির কর্মকর্তার দিকনির্দেশনায় চুক্তিবদ্ধ চাষিদের আলুর বাম্পার ফলন

প্রতিবেদক
সভ্যতার আলো ডেস্ক
মার্চ ১১, ২০২৫ ৮:৩৭ পূর্বাহ্ণ

নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি

আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় চুক্তিবদ্ধ চাষীরা বীজআলু উৎপাদন করে চমক সৃষ্টি করেছেন। রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক থেকে শস্যবন্ধকি ঋণের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ চাষীদের বীজ, সার, কীটনাশক ও ছত্রাকনাশক সরবরাহ করা হয়ে থাকে।

চলতি বছরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন নীলফামারী জোনের আওতায় ডোমার, নীলফামারী সদর ও দেবীগঞ্জ উপজেলায় বীজআলুর বাম্পার ফলন হওয়ায় সন্তুষ্ট আলুচাষীরা।

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের বাস্তবায়নাধীন ‘মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন ও সংরক্ষণ এবং কৃষক পর্যায়ে বিতরণ জোরদারকরণ’ প্রকল্পের আওতায় ২০২৪-২৫ উৎপাদন মৌসুমে নীলফামারী জোনের ৩০টি ব্লকে মোট ৭৬ জন চুক্তিবদ্ধ চাষীর মাধ্যমে ৭৫৩ একর জমিতে বীজআলু উৎপাদন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিলো।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, চাষকৃত ৪১৮ একর জমিতে ১২টি জাতের ভিত্তি বীজআলু এস্টারিক্স, মিউজিকা, গ্রানুলা, কুইনঅ্যানি, কারেজ, কুম্বিকা, এলোয়েট, ৭ ফোর ৭, সানতানা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ট, বারি আলু-৬২ এবং ৩৩৫ একর জমিতে ১১টি জাতের প্রত্যায়িত বীজআলু যথাক্রমে মিউজিকা, সানতানা, কারেজ এস্টারিক্স, গ্রানোলা, কুম্বিকা, সানসাইন, বারি আলু-৭২, ভ্যালেন্সিয়া, ডায়মন্ট ও কার্ডিনাল জাতের উৎপাদন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে কর্তৃপক্ষ। যা থেকে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মেট্রিকটন বীজআলু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব বাজারজাত করার পর প্রায় ১৬ কোটি টাকা বীজআলুর মুল্য বাবদ পরিশোধ করা হবে। এরমধ্যে প্রায় ৮ কোটি টাকা চুক্তিবদ্ধ চাষীদের আয় হবার সম্ভাবনা দেখছেন কর্তৃপক্ষ।

নীলফামারী সদর উপজেলার তরনীবাড়ী ব্লকের কৃষ্ণ রায় বলেন, বিএডিসি সহযোগিতায় এক বিঘা বীজ আলু রোপণ করেছি। যদি ভালো রেট পাই তাহলে লাভবান হবো।বাজারে আলুর দাম কম। বিএডিসি হতে আলুর দাম ভালো পাই এজন্য প্রতি বছর কিছু লাগাই। এখান থেকে বীজ, সার, কীটনাশক পেয়েছি। আলুর ফলনও খুব ভালো হয়েছে।

একই এলাকার আলু চাষি রত্নদেব রায় বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে ৩টি জাতের আলু চাষ করেছি। গতবছর উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে আমরা বিএডিসির বীজ আলুতে বিঘায় ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার লাভ হতো। এবার তো দাম কম কিযে হয় জানি না।

পলাশবাড়ী ইউনিয়নের আলু চাষী কৃষক ভদ্রমোহন রায় এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিএডিসির উন্নত মানের বীজআলু রোপণ করে আমরা এবার স্বাবলম্বি হয়েছি এবং বিএডিসির কর্মকর্তারা আমাদের মাঝে আলু রোপনের সঠিক নিয়ম ও সময় বলে দেয়ায় আমরা এবার আলুর বাম্পার ফলন পেয়েছি।

আলু চাষীরা জানায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও বিএডিসির কর্মকর্তারা আলু চাষীদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করায় আলুর ক্ষেতে রোগ-বালাই কম দেখা দিয়েছে। এইসব রোগ বালাই আলু ক্ষেত থেকে দূর হয়ে গেছে। এবার আলু চাষে কৃষকদের আগ্রহী করতে নানা প্রকার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন নীলফামারী জোনের উপপরিচালক মোঃ আবু তালেব মিঞা। ভবিষ্যতে নীলফামারী বীজআলু উৎপাদন জোন বাংলাদেশের মধ্যে একটি সম্ভাবনাময় জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। বর্তমানে দণ্ডায়মান ফসলের সার্বিক অবস্থা ভালো পর্যায়ে রয়েছে এবং লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী গুণগত মানসম্পন্ন বীজআলু উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন উৎপাদিত বীজআলু দেশের সাধারণ চাষীদের আলু উৎপাদনে সরবরাহের ঘাটতি পুরনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। উৎপাদিত বীজআলু সংরক্ষণের জন্য জেলার গাছবাড়ি সংলগ্ন নীলফামারী বীজ বর্ধন খামারের অভ্যন্তরে ২ হাজার মেট্রিকটন ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি বীজ আলু হিমাগারের নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।###

ইব্রাহিম সুজন
নীলফামারী
01719040848

সর্বশেষ - মুন্সীগঞ্জ