চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলায় বিএনপির দুই গ্রুপের কর্মসূচিকে ঘিরে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। আজ বুধবার দুপুরের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
জোরারগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, আজ দুপুরে বারইয়ারহাট পৌর বাজারে এ সংঘর্ষ ঘটে। এসময় জাবেদ নামে একজন নিহত হয়েছেন। আহত হন ১০ থেকে ১২ জন।
তিনি জানান, মীরসরাই উপজেলা, পৌরসভা ও বারইয়ারহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার পর এগুলো বাতিলের দাবিতে দলের বিভিন্ন গ্রুপের মধ্যে কোন্দল চলছিল। এ নিয়ে সংঘর্ষের আশঙ্কায় মিরসরাইয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
ওসি সাব্বির মোহাম্মদ সেলিম জানান, “বুধবার দুপুর ১২টার দিকে একটি গ্রুপের কয়েক হাজার নেতাকর্মী ফুল দিয়ে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান। তারা উপজেলা পরিষদ চত্বর ছেড়ে চলে গেলে সেনাবাহিনীর সদস্যরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থান নেন। পরে বাইয়ারহাট পৌর বাজারের কাছে অন্য গ্রুপের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয় বলে জানতে পেরেছি।”
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয় বলে জানান তিনি। পুলিশ ঘটনার বিস্তারিত জানতে তদন্ত শুরু করেছে এবং এখনও কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলেও উল্লেখ করেন মি. সাব্বির।
এখন এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে এবং পুলিশ ও সেনা সদস্যরা টহল দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজা জেরিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল আজ শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে দুই গ্রুপের মাঝে ঝামেলা হতে পারে।” এজন্যই ১৪৪ ধারা জারি করে মিছিল-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
সংঘর্ষে একজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তিনি আরও জানান, “আহতদের মধ্যে দুই জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল, তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর পেয়েছি।” -বিবিসি বাংলা